মণিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করল প্রশাসন

ইম্ফল, আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর মসনদেও পালাবদল ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এখনও অস্থিরতা বাংলাদেশ জুড়ে। ঘরবাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে যথেচ্ছ লুটপাট, এমনকি খুনের ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও উত্তেজনা ক্রমশ ‍বাড়ছে। উত্তেজনা ‍বাড়ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেও। সীমান্ত এলাকা জুড়ে কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ ‍বা সীমান্তরক্ষী বাহিনী । রাতের অন্ধকারের সুযোগে অনেকেই ‘বেআইনি ভাবে’ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছেন। মণিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করল প্রশাসন। এর আগেই মেঘালয়ে একই নির্দেশিকা জারি করেছিল সেখানকার প্রশাসন।

 

মণিপুরের ফেরজাল এবং জিরিরাম নামে দুই গ্রামের দিকেই প্রধানত নজর রয়েছে প্রশাসনের। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই এই দুই গ্রাম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসকরা। এরপরই রাত্রিকালীন কার্ফু জারি এবং নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্মসচিব এক নির্দেশিকায় জানান, বাংলাদেশে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। অবৈধ প্রবেশ আটকাতেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন।


 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে মণিপুরে সরাসরি কোনও সীমান্ত নেই। তবে দক্ষিণ অসমের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমানা ভাগ করে মণিপুর। আবার অসমের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে দক্ষিণ অসম হয়ে অনেক বাংলাদেশিই মণিপুরে ঢুকে পড়তে পারেন। অন্য দিকে, মেঘালয়ে ভারত-বাংলাদেশ সরাসরি সীমান্ত রয়েছে। সে দিক থেকেও অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফুও।

 

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনওভাবে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান না ঘটে, সে দিকে নজর রাখছে বিএসএফ। বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পেট্রোপোল এবং রানাঘাটের ‘সংবেদনশীল’ সীমান্ত ছাউনি পরিদর্শন করেন বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিংহ চৌধরি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএসএফ কতটা প্রস্তুত , ওই সমস্ত ছাউনিগুলিতে গিয়ে তা খতিয়ে দেখেন ডিজি।