সোমবারই শেষবারের মতো আকাশে উড়ল ভিস্তারার বিমান। ১২ নভেম্ভর থেকে ভিস্তারার সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে। ১১ নভেম্বর ছিল ভিস্তারা বিমানযাত্রার শেষ দিন।ভিস্তারা বিমান সংস্থাটির বুকিং গত সেপ্টেম্বরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার শেষবার ভিস্তারার বিমানে সওয়ারি হলেন যাত্রীরা ।
ভিস্তারার সমস্ত বিমান এয়ার ইন্ডিয়ার অধীনে আসছে। দুটি সংস্থার বিমানই পরিচালনা করবে টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়া। ফলে মঙ্গলবার থেকে আলাদা করে এই সংস্থার আর কোন অস্তিত্ব থাকল না। ভিস্তারার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘বিমান যখন আকাশে ওড়ে, তখন আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোও পরিবর্তন হয়। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া। তাই আমরা মনে করি আকাশকে ছোঁয়ার কোনও শেষ নেই, সেখানে সবই শুরু।’
রবিবার ভিস্তারার বিমানে এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এদিন গোয়া থেকে বেঙ্গালুরুতে বিমান পৌঁছনোর পর যাত্রীরা যখন নামার তোড়জোড় শুরু করেছেন তখনই কানে ভেসে আসে ‘কাল হো না হো’ গান। কয়েক মুহূর্তের জন্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বিমানকর্মী থেকে শুরু করে যাত্রীরাও।
তবে দুটি সংস্থা গাঁটছড়া বাঁধলেও নানা বিতর্কও দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে কর্মীদের অবসরের বয়স নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত। এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা ৫৮ বছরে অবসর নেন। কিন্তু ভিস্তারার ক্ষেত্রে অবসরের বয়স ছিল ৬০ বছর। দুটি সংস্থা এক হয়ে গেলেও কীভাবে এই সমস্যার সুরাহা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে পাইলট ও বিমানকর্মীদের।
২০১৩ সালে টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ভারতে যৌথ উদ্যোগ ভিস্তারা উড়ানের কথা ঘোষণা করে। তখন টাটার অংশীদারিত্ব ছিল ৫১ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ৪৯ শতাংশ। ২০১৫-র ৯ জানুয়ারি ভিস্তারা তার প্রথম উড়ান চালু করে। নতুন চুক্তিতে টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা এয়ারলাইন্সের ২৫.১ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের হাতে।