শুধু কলকাতা নয় জাল ভ্যাকসিনের জাল ছড়িয়ে মুম্বইয়ে। অন্তত দু হাজার মানুষ এই জাল ভ্যাকসিনের শিকার হয়েছেন। বন্ধে হাইকোর্টে এমনই তথ্য পেশ করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতলের মধ্যে রয়েছেন মুম্বইয়ের বেসরকারি শিবম হাসপাতালের কর্ণধার শিবরাজ পাটারিয়া ও তার স্ত্রী নীতা। সিটের প্রধান তথা মুম্বই পুলিশের ডিসি বিশাল ঠাকুর জানিয়েছেন এই হাসপাতাল থেকে ৩৮ টি ভায়াল একটি ভুয়াে ভ্যাকসিনের চক্রকে দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থারও নাম উঠে এসেছে। তারাই ভ্যাকসিনের ফাকা ভায়াল জোগাড় করে এই টিকাকরণ করত। মনীশ ত্রিপাঠী নামে যে চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে সে এই ভায়ালগুলি যােগাড় করতে সাহায্য করেছিল।
কান্দিভালি (ওয়েস্ট) অঞ্চলের একটি হাউজিং সােসাইটি থেকে এই ভুয়াে ভ্যাকসিন শিবির থেকে ৩৯০ জন টিকা নেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১২৬০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১২০ জন সার্টিফিকেট পান। তিনটি বিভিন্ন হাসপাতালের নামে সার্টিফিকেট ছিল।
সে কারণেই সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে খোজ নিয়ে জানা যায় কোনও হাসপাতালের সঙ্গেই চুক্তি হয়নি। এরপর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। দুই চিকিৎসক সহ মােট দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি গাড়ি ও বারাে লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।