• facebook
  • twitter
Thursday, 26 December, 2024

প্রাক্তন বিধায়ককে বিদেশি ঘোষণা করে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের, কী অপরাধ ছিল তাঁর?

২০০৮ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ সালে ভেমুলাওয়াড়া থেকে প্রথমবার বিআরএস-এর হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। এরপর টানা চারবার ভেমুলা ওয়াড়া থেকে বিআরএস-এর টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন।

প্রাক্তন বিআরএস বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশ। ফাইল চিত্র

ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় নজিরবিহীন ঘটনা। এক ঝটকায় প্রাক্তন বিআরএস বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নিল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, তাঁকে জার্মান নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। এই প্রথম দেশের কোনও প্রাক্তন বিধায়কের নাগরিকত্ব কেড়ে নিল আদালত। করা হয়েছে জরিমানাও।

কিন্তু কী অপরাধ ছিল তাঁর? আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশি নাগরিকত্ব গোপন করা এবং ভারতের বিচার বিভাগকে বিভ্রান্ত করার দায়ে চেন্নামানেনি রমেশের বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০০৮ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া সত্ত্বেও তিনি জার্মান নাগরিকত্ব ধরে রাখেন। অথচ ২০০৯ সালে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তিনি সেই তথ্য গোপন করেছেন। কিন্তু ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও বিধান নেই। আবার ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, ভারতের নাগরিক নন এমন কোনও ব্যক্তি কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এমনকি তাঁর ভোট প্রদান করারও কোনও অধিকার নেই।

ঘটনাটি ২০১৯ সালের। প্রাক্তন বিআরএস বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশের ভারতীয় নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় কেন্দ্র সরকার। এরপর বিষয়টি নিয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন রমেশ। কিন্তু হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশকে বহাল রেখে তাঁকে জার্মান নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছে।

প্রসঙ্গত প্রাক্তন বিআরএস বিধায়ক চেন্নামানেনি রমেশের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতে কংগ্রেসের হয়ে সেই মামলা লড়েন ভি রোহিত। কংগ্রেসের দাবি ছিল, ৯০-এর দশকে রমেশ জার্মানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সময়ে সেদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর সেখানে রমেশ চাকরি করতেন। এবং বিয়ে করার পর সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ সালে ভেমুলাওয়াড়া থেকে প্রথমবার বিআরএস-এর হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। এরপর টানা চারবার ভেমুলা ওয়াড়া থেকে বিআরএস-এর টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন। যা প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিধায়ক হিসেবে তাঁর নির্বাচনে জয়লাভকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেস।