• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

তাজ মহল মুঘল সৌধই, হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল এএসআই

মোঘল সমাধি না শিব মন্দির, এই বিতর্কে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির দাবি নাকচ করে দিল ভারতের পুরাতাত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই)। আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল মোঘল সম্রেট শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজের মৃত্যুর পর স্মৃতিসৌধ হিসেবে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী দাবি করে সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল আসলে শিব মন্দির, যার নাম ‘তেজা মহালয়’। তারা শুধু দাবি

তাজমহল মুঘল সৌধই, হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল এএসআই

মোঘল সমাধি না শিব মন্দির, এই বিতর্কে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির দাবি নাকচ করে দিল ভারতের পুরাতাত্বিক সর্বেক্ষণ (এএসআই)। আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল মোঘল সম্রেট শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজের মৃত্যুর পর স্মৃতিসৌধ হিসেবে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী দাবি করে সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল আসলে শিব মন্দির, যার নাম ‘তেজা মহালয়’। তারা শুধু দাবি করেই থেমে থাকেনি, সেই সঙ্গে আগ্রা আদালতে মামলাও রুজু করেন। এবং শিব মন্দিরের পক্ষে বেশ কিছু প্রমাণও দাখিল করে।
হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলির বক্তব্যকে সমর্থন জানান বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা। এবিষয়ে আগ্রা আদালতে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রাজেশ কুলশ্রেষ্ঠ। এই বিতর্কের সৃষ্টি হয় পিএন ওকের লেখা একটি বইকে কেন্দ্র করে।
বইটিতে তাজমহলকে শিব মন্দির হিসেবে দাবি করেন লেখক। বইটি প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক নেতামন্ত্রীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যায়।
তাজমহলকে শিব মন্দির হসাবে ঘোষণা করতে লখনউয়ের প্রায় ৬ জন আইনিজীবী আগ্রা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এমনিতে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে তাজমহলের বাকি অংশগুলি খুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়।
হিন্দুত্ববাদী এই জল্পনায় জল ঢেলে পুরাতাত্বিক সর্বেক্ষণের পক্ষ থেকে জানান হয়, তাজমহল মোগল সৌধ। কোনও দিনই শিব মন্দির ছিল না। এমনকি ‘তেজো মহালয়ে’র পক্ষে যে তথ্য প্রমাণগুলি আদালতে পেশ করা হয়েছে সেগুলিও মনগড়া বলে দাবি করেছেন এএসআইয়ের আইনজীবী আনজানি শর্মা।