তাইপেই, ৩ এপ্রিল – ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে তাইওয়ান। বুধবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ান দ্বীপ। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। এরপরই জাপানের দক্ষিণে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। ফিলিপিন্সেও জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত কমপক্ষে ৭৩০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বড়সড় এই কম্পনের জেরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানেও।শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ । এই পরিস্থিতিতে তাইওয়ানে থাকা ভারতীয়দের জন্যও জারি হয়েছে নির্দেশিকা। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই তাইওয়ানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
ভোর হতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইপেই। বুধবার সকালে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই-তে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরই জারি করা হয়েছে সুনামির সতর্কতা। জাপান, ফিলিপিন্সে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ৩০ মিনিট পর জাপানের ইয়োনাগুনি, মিয়াকো এবং ইয়ায়েমা দ্বীপগুলিতে একতলা বাড়ি সমান ঢেউ আছড়ে পড়ে বলে খবর। জাপানের আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, ৩ মিটার পর্যন্ত সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ , ভারতীয় সময় রাত ১২টায় দেশের রাজধানী তাইপেই-তে ভয়াবহ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালেন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪.৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। জাপানের মেটেওরোলজিক্যাল এজেন্সির দাবি, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৫। ঘন জনবসতিপূর্ণ শহর হুয়ালিনে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। একটি পাঁচতলা বাড়ি ৪৫ ডিগ্রি কোণে হেলে গিয়ে বিপজ্জনকভাবে এখনও দাঁড়িয়ে। পুরোনো বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। তাইওয়ান প্রশাসনের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই ভূমিকম্পে। ইতিমধ্যেই বহু বাড়িঘর ভেঙে পড়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মেট্রো ও ট্রেন পরিষেবা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
এদিকে, ভূমিকম্প হওয়ার পরই জারি করা হয় সুনামির সতর্কতাও। জাপানের পাশাপাশি ফিলিপিন্সেও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩ মিটার বা ৯.৮ ফুট উচ্চতা অবধি সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপকূলের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জাপানের ওকিনাওয়া উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানেই সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সুনামির পূর্বাভাসের ফলে ওকিনাওয়ার নাহা বিমানবন্দরে প্রশাসনের তরফে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘ইন্ডিয়া তাইপেই অ্যাসোসিয়েশনে’র তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’বুধবার অর্থাৎ ৩ এপ্রিল, ২০২৪ সকালে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে হওয়া ভূমিকম্পের দিকে নজর রেখে তাইওয়ানে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য এমার্জেন্সি হেল্পলাইন খুলে দেওয়া হয়েছে যে কোনও রকম সাহায্য এবং পরামর্শের জন্য।’