ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর প্রথম আফসোসের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মিষ্টি খেতে না পারা৷ মিষ্টি খাবেন কিন্ত্ত রক্তে শর্করার পরিমাণ বসে থাকবে— এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়া৷ তবু মনে মনে অনেক ডায়াবেটিক ভাবেন, আহা যদি মিষ্টি খেয়েও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত! পুষ্টিবিদরা কিন্ত্ত জানাচ্ছেন, অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ধারণা কিন্ত্ত সত্যি৷ এক্ষেত্রে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে এই জাতীয় খাবার বা পানীয় কোন সময় খাচ্ছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সকালে চা-কফি থেকে শুরু করে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম—খাবার যা ই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে৷ অন্তত আয়ুর্বেদ তেমনটাই বলছে৷ মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভালো নয়৷ তবুও এই খাবারের লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই৷ তাই ক্ষতি এড়াতে চাইলে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময় জানতে হবে?
কখন মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এ প্রশ্নে পুষ্টিবিদদের মত, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একদমই খাওয়া যাবে না৷ এতে হঠাৎ করে রক্তে শর্করা বেডে় যাবে৷ যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হয়৷
তবে সবার ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে এমনটা নয়৷ অনেকেই ভাবেন কেবল মিষ্টি, কেক বা পেস্ট্রিতেই কেবল চিনি থাকে৷ এই ধারণাও ঠিক নয়৷ কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত খাত, প্রক্রিয়াজাত খাবারেও প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে৷ তাই সারা দিনে কী খাচ্ছেন আর কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন তার ওপরও রক্তের শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে৷
দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সেক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা কমে৷ কারণ, এই সময়ে দেহের বিপাকক্রিয়া ভালো থাকে৷ শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাডি় শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে৷ তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে আর খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তবে তা দিনের বেলাতেই খেয়ে নিন৷ রাতে শেষ পাতে মিষ্টিমুখ না করাই শ্রেয়৷ সকালে খালি পেটেও মিষ্টি খাওয়া চলবে না৷