• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ঘাম স্বাভাবিক হলেও অতিরিক্ত মানেই ঘোর বিপদ

চলতি বছরে যে হারে গরম পড়ছে তাতে রোজই শুধু ঘামেই স্নান হয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকবার৷ যদিও বিজ্ঞান অনুসারে ঘাম হওয়া শরীরের একটি স্বাভাবিক রেচন প্রক্রিয়া ৷ এর মাধ্যমে শরীরের কিছু অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়৷ আবার, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও ঘাম মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঘাম শরীরের জন্য ভালো নয়৷

চলতি বছরে যে হারে গরম পড়ছে তাতে রোজই শুধু ঘামেই স্নান হয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকবার৷ যদিও বিজ্ঞান অনুসারে ঘাম হওয়া শরীরের একটি স্বাভাবিক রেচন প্রক্রিয়া ৷ এর মাধ্যমে শরীরের কিছু অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়৷ আবার, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও ঘাম মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ঘাম শরীরের জন্য ভালো নয়৷ এই বিষয়ে জানালেন, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অর্পিতা কর৷ তিনি বলেন, ‘শরীরে ঘাম হওয়া একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া৷ শীতকালে বা গরমকালে আমাদের তাপমাত্রার ব্যবধানে ঘাম হওয়া নির্ভর করে ৷ ঘাম শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ফাংশন বজায় রাখে৷ ঘামের মধ্যে একটা অ্যান্টিবায়োসিন নামক একটি প্রাকৃতিকভাবে নিঃসৃত হয় যা আমাদের শরীর নিজেই তৈরি করে৷ সেটা আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে৷ অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বা হাইপারহাইড্রশিস এটি এক ধরনের পরিস্থিতি ৷ এটি জেনেটিকও হতে পারে বা পরবর্তীতেও হতে পারে৷ পরবর্তীতে হলে অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে ৷ যেমন- হাইপারথাইরয়েডিজম, ফিভার অফ আননন অরিজিন, হরমোনাল ইমব্যালেন্স এগুলি থাকতে পারে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার জন্য ৷ অতিরিক্ত ঘাম হওয়া শরীরের জন্য ভালো নয় ৷ তিনি আরও বলেন, কারও কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন৷
ঘামের স্বাস্থ্য উপকারিতা :
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন শরীরের ঘাম বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ৷ তিনি পরামর্শ দেন যে ঘাম ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷ এছাড়াও ২০১৬ সালে ‘জার্নাল অফ ইনভেস্টিগেটিভ ডার্মাটোলজি’-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ঘাম ত্বকের পিএইচ কমায়৷ যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে ৷ ঘাম ছিদ্রগুলিতে জমে থাকা অতিরিক্ত ময়লা, তেল দূর করতে সাহায্য করে৷ ঘাম ত্বকের মৃত কোষ দূর করতেও সাহায্য করে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাম ব্রণ ও দাগের মতো ত্বকের সমস্যাও এড়ানো যায়৷
অতিরিক্ত ঘামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: 
বলা হয় অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ বলা হয়ে থাকে যে বায়ুমণ্ডলের ধুলোবালি ও ঘাম ত্বকের ছিদ্রে প্রবেশ করার কারণে ব্রণ ও দাগ তৈরি হয় ৷ এছাড়াও ঘামে থাকা খনিজ লবণ এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিরামাইড, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং কারণগুলির মাত্রা হ্রাস করে ৷ ফলে ত্বকের শুষ্কতা ও জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷