• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মুম্বই উপকূলে ফের সন্দেহজনক নৌকো, আটক নৌকোর ৩ আরোহী 

মুম্বাই, ৭ ফেব্রুয়ারি –  মুম্বই উপকূলে ফের নজরে এল সন্দেহজনক নৌকো। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘আবদুল্লা শরিফ’ নামের  নৌকোটি কুয়েত থেকে মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় পৌঁছয়। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁরা একটি নৌকো আটক করেছেন। নৌকোর ৩ আরোহীকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। আরোহীরা প্রত্যেকেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার বাসিন্দা। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়,

মুম্বাই, ৭ ফেব্রুয়ারি –  মুম্বই উপকূলে ফের নজরে এল সন্দেহজনক নৌকো। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘আবদুল্লা শরিফ’ নামের  নৌকোটি কুয়েত থেকে মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় পৌঁছয়। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁরা একটি নৌকো আটক করেছেন। নৌকোর ৩ আরোহীকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। আরোহীরা প্রত্যেকেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার বাসিন্দা। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, ওই নৌকো থেকে সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।  

 ৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, সকালে নৌবাহিনী ইন্ডিয়া গেট থেকে লাইট হাউস পর্যন্ত নিয়মিত টহলদারি দিচ্ছিল।  নৌকোর তিন আরোহী নৌকোটিকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় নোঙর করে। হঠাৎ ওই নৌকো দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তা রক্ষীদের।  নৌকোটি আটক করে আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  জানা গেছে, তাঁরা মৎস্যজীবী, যদিও লাইসেন্স ছাড়াই তারা ভারতে প্রবেশ করেছিল। আরোহীদের বয়স ৩০-এর আশেপাশে।  
 
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিন ব্যক্তি একটি মৎস্য সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে কাজের পরিবেশ ছিল খুবই খারাপ। কিছু বলতে গেলেই জুটত মালিকের মারধর। তার উপর বেতন হত না নিয়মিত। ফলে অধৈর্য হয়ে পড়েছিলেন ভারত থেকে সেখানে কাজ করতে যাওয়া তিন মৎস্যজীবী। কর্মীরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য মৎস্য সংস্থাটি সকলের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। ছিল না টাকাপয়সাও। ফলে সাধ থাকলেও সাধ্য  ছিল না ওই তিন জনের । এই অবস্থায় তাঁরা তিন জন কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন। 
 
সেই মতো তাঁরা কাজ ছেড়ে পালিয়ে যান। কুয়েতের সংস্থা থেকে নৌকো  চুরি করে তাঁরা ভেসে পড়েন। একটানা ১২ দিন আরব সাগরে ভেসে তাঁরা মুম্বাই উপকূলে পৌঁছন। সেখানেই পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শেষ চার দিন কিছুই খাবার জোটেনি। কারণ পানীয় জল এবং রেশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তিন জনকেই আটক করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ মামলায় কোনও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কুয়েতের নৌকাটিকে পুলিশ কোলাবায় তাজ হোটেলের কাছে আটকে রেখেছে।
   
এই ঘটনা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। আমির আজমল কসাভ-সহ ১০ পাকিস্তানী জঙ্গি আরব সাগর দিয়ে বাড়িতে ঢোকে।এরপর তারা যে রক্তপাত ঘটায় তা সবারই জানা। এরপর আবার  ‘গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া’র সামনে রহস্যময় নৌকো  ধরা পড়ায় আতঙ্কে রয়েছে বাণিজ্যনগরী।