দিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি– ২০১৪ র ভোটে শতাব্দি প্রাচীন দল কংগ্রেস ৪৪টি আসন জিতেছিল৷ ২০১৯-এ জেতে ৫২টি৷ যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথা অনুযায়ী ২৪ শে সবচেয়ে কম আসন পাওয়ার রেকর্ড করতে চলেছে কংগ্রেস৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাকেই প্রাধান্য দিয়ে সংসদেই প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন আশা করি কংগ্রেস চল্লিশের সীমা পার করবে৷ নিজেকে ও নিজের দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে তিনি চারশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবেন৷ এর মধ্যে তার দল বিজেপি একাই ৩৭০ এর বেশি আসন দখল করবে৷ তবে যদি ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের এ মাসের সমীক্ষা রিপোর্ট দেখি তাহলে মোদি বা মমতাকে এবার নিরাশই হতে হবে মনে হচ্ছে৷ এ রিপোর্ট বলছে অন্য কথা৷
লোকসভা ভোটে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা প্রকাশিত হতে শুরু করেছে৷ তেমনি একটি সমীক্ষা করেছে প্রথম সারির এক টেলিভিশন চ্যানেল৷ চলতি মাসে করা তাদের সেই সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসনের গণ্ডি পেরবে না৷ তাদের রিপোর্টে কংগ্রেসকে নিয়ে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা৷ তাতে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন ৭০ এর বেশি হবে৷
তবে এ রিপোর্ট অনুযায়ী কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট যে ক্ষমতায় ফিরছে না৷ মানে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি, তা নিয়েও কোন সংশয় নেই৷ সমীক্ষায় আঞ্চলিক দলগুলির সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আভাস প্রকাশ করা হয়নি৷ তবে বিজেপির সম্পর্কে যে তথ্য সমীক্ষায় উঠে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট পদ্ম শিবিরকে এবারও আঞ্চলিক দলের কাছেই শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে৷ কিন্ত্ত সংসদে দাঁডি়য়ে প্রধানমন্ত্রী যে ভাষা ও ভঙ্গিমায় প্রধানমন্ত্রী চারশো আসন পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপির সম্ভাব্য ফলাফল তার ধারে কাছেও যাচ্ছে না৷ দেশের এক প্রথমসারির দৈনিক অনুসারে, বিজেপির আসন বাড়তে পারে মাত্র একটি৷ অর্থাৎ ২০১৯ সালে তারা ৩০৩টি আসনে জয়লাভ করেছিল৷ আগামী ভোটে সেই সংখ্যা বেডে় হতে পারে ৩০৪৷ অন্যদিকে বিজেপি তথা এনডিএ শরিক দলগুলির আসন অনেকটা কমে যাবে৷ ফলে সামগ্রিকভাবে ২০১৯- এর তুলনায় ফল ভাল হবে না গেরুয়া শিবিরের৷
তবে এই সমীক্ষাই যে শেষ কথা তা নয়৷ শেষ কথা বলে আম জনতা৷ ভোট যত এগিয়ে আসে পরিস্থিতি ততই পাল্টাতে থাকে৷ মোদির ভবিষ্যতবাণী মিলে যাওয়া যেমন অসম্ভম নয়, তেমনই উল্টোটাও সম্ভব৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিষয়টি বিজেপি নেতৃত্বের কাছেও স্পষ্ট৷ তাই নতুন করে তারা শরিকের সন্ধানে নেমেছে৷ বিহারে নীতীশ কুমারকে জোটে ফেরানোর পর অন্ধপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশ পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনা এগোচ্ছে৷ কদিন আগেও বর্ষীয়ান এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতার ফোন এডি়য়ে গিয়েছেন অমিত শাহ জেপি নাড্ডারা৷ কিন্ত্ত গত বুধবার চন্দ্রবাবুকে দিল্লিতে ডেকে অন্ধ্রে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা৷ চন্দ্রবাবু হলেন সেই নেতা যিনি ১৯৯৮ সালে এনডিএ গঠনের সময় অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীদের হাত ধরেছিলেন৷ ছিলেন, এনডিএ’র আহ্বায়ক৷ ২০১৮ সালে তিনি এনডিএ ছেডে় যান৷ আবার তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে মোদীর স্বপ্ন পূরণের জন্য৷