ইতিহাস! ডিজিএএফএমএসের প্রথম মহিলা অফিসার হলেন সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন

সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিজিএএফএমএস)-এ নিযুক্ত হলেন। তিনিই প্রথম মহিলা অফিসার যিনি ডিজিএএফএমএস-এ নিযুক্ত হয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর সামগ্রিক চিকিৎসা নীতি সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসেস সরাসরি যুক্ত থাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে এবার কাজ করবেন তিনি।

কিন্তু এর আগেও সার্জন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন কোন দফতরে এর আগে তিনি কাজ করেছেন, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে –

ডিজি মেডিকেল সার্ভিসেস (নেভি) ডিজি মেডিকেল সার্ভিসেস (এয়ার) এবং পুণের আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের (এএফএমসি) ডিরেক্টর ও কমান্ড্যান্ট সহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন আরতি সারিন। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে সশস্ত্র বাহিনী চিকিৎসা পরিষেবায় যোগ দেন তিনি।


৩৮ বছর দায়িত্ব পালনের পর, তিনি অধ্যাপক ও প্রধান, রেডিয়েশন অঙ্কোলজি, আর্মি হাসপাতাল (আরএন্ডআর) এবং কমান্ড হাসপাতাল (সাউদার্ন কমান্ড)/ এএফএমসি পুনে, কমান্ডিং অফিসার, আইএনএইচএস অশ্বিনী, ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষিণ ও পশ্চিম নৌ কমান্ডের কমান্ড মেডিকেল অফিসার সহ গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুণের এএফএমসি থেকে রেডিওডায়াগনসিসের এমডি এবং মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে ডিপ্লোমেট ন্যাশনাল বোর্ড ইন রেডিয়েশন অঙ্কোলজির পাশাপাশি ফ্ল্যাগ অফিসার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গামা নাইফ সার্জারিতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আরতি সারিন।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তাঁর কাজের জন্য তিনি অর্জন করেছেন বিশেষ পদকও। ২০২৪ সালে তিনি পেয়েছেন অতি বিশিষ্ট সেবা পদক, ২০২১ সালে পেয়েছেন বিশিষ্ট সেবা পদক, ২০১৭ সালে বিশিষ্ট সেবার জন্য তিনি পেয়েছেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশন। ২০১৩ সালে তিনি অর্জন করেছেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ কমেন্ডেশন। অন্যদিকে ২০০১ সালে তিনি ভূষিত হয়েছেন চিফ অফ নেভাল স্টাফ কমেন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডে।

আজ থেকে তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিজিএএফএমএস)-এ ফ্ল্যাগ অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।