নিজের নামেই ভোট জিতুন, অজিতকে কড়া দাওয়াই শীর্ষ আদালতের
মুম্বই, ১৪ মার্চ– লোকসভা ভোটের মুখে অস্বস্তিতে এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী৷ ভোটপ্রচারে কাকা শরদ পওয়ারের নাম এবং ছবি ব্যবহারে ‘নিষেধাজ্ঞা’র মুখে এনসিপি৷ হাতছাড়া পুরনো প্রতীক ‘ঘড়ি’ও৷
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট অজিত পওয়ার গোষ্ঠীকে সাফ জানিয়ে দিল, ‘নিজের ক্ষমতায় ভোট জিতুন৷ কাকার পিঠে চড়ে নয়৷’ সঙ্গে আরও নির্দেশ, তাঁদের আদালতে লিখিত হলফনামায় জানাতে হবে ভোটপ্রচারের সময় কোনওভাবে শরদ পওয়ারের নাম বা ছবি তাঁরা ব্যবহার করবে না৷ প্রত্যক্ষভাবে তো নয়ই, পরোক্ষভাবেও যেন শরদ পওয়ারের নাম ও ছবি অজিত গোষ্ঠী ব্যবহার না করে, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছে শীর্ষ আদালত৷ সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক নির্দেশ, অজিত গোষ্ঠী যেন নিজেদের জন্য এনসিপির পুরনো প্রতীক ‘ঘড়ি’ ছাড়া অন্য কোনও প্রতীক বেছে নেয়৷ কারণ ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করলেও ভোটারদের বিভ্রান্ত করার একটা সম্ভাবনা থাকছে৷
নির্বাচন কমিশন গত ৬ ফেব্রুয়ারি জানিয়ে দিয়েছে, অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন শিবিরই আসল এনসিপি৷ ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘডি়’ ব্যবহারের অধিকার পাবে অজিতের গোষ্ঠী৷ কিন্ত্ত শরদ গোষ্ঠীর অভিযোগ শুধু এনসিপি নাম এবং প্রতীক নয়, লোকসভার ভোটপ্রচারে এনসিপির অজিত গোষ্ঠী শরদ পওয়ারের নাম এবং ছবিও ব্যাবহার করে সাধারণ ভোটারদের বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করছেন৷ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অজিত গোষ্ঠীকে শরদ পওয়ারের নাম ও প্রতীক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল শীর্ষ আদালত৷
উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এনসিপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছায়৷ সদলবলে শরদ পাওয়ারের এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেন ভাইপো অজিত পাওয়ার৷ মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক৷ অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন৷ ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন৷ দাবি করেন, আসল এনসিপি তাঁরাই৷ বিষয়টি গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত৷