সংরক্ষণ ফিরবে? ২৭ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি মামলার শুনানি

কলকাতা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ওবিসি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের। এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এর আগে ওবিসি নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলার দ্রুত শুনানির দাবি জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, বিষয়টি আজ শুনানি হওয়া উচিত। হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া দরকার। তা না হলে নিট পরীক্ষা এর দ্বারা প্রভাবিত হবে। এর আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

পশ্চিমবঙ্গে ওবিসিতে ৭৭টি জাতি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে শেষ শুনানিতে, সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছিল। আদালত জানতে চেয়েছিল, কেন ৭৭টি জাতি ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল? আদালতের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উচিত এই জাতিগুলির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা সম্পর্কে তথ্য আদালতের সামনে উপস্থাপন করা।


সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, কেন এই জাতিগুলিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তার যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে। তাদের সামাজিক অবস্থান ও শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ অগস্ট।

চলতি বছর মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওবিসি-সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও, ২০১০ সালের পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্রও বাতিল করে আদালত। এপ্রিল ২০১০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১০ এর মধ্যে মুসলিম সহ ৭৭ জাতিকে ওবিসিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিল হাইকোর্ট।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন। আদালত তার সিদ্ধান্তে বলেছিল, এই জাতিগুলিকে ওবিসিতে অন্তর্ভুক্ত করার পিছনে ধর্মই একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে হচ্ছে। আদালত আরও বলে, এই জাতিগুলিকে ওবিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হতে পারে। আর এটাকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে দেখা গিয়েছে।