দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির যে পরীক্ষাগুলি কোরনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্পন্ন হয়নি, সেগুলি বাতিল করে দেওয়ার জন্য সিবিএসই-কে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে ওই বিষয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাগুলি বাতিলের দাবিতে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন জনৈক অভিভাবক অমিত বাথলা। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবারের মধ্যে সিবিএসই-কে তাঁদের নির্দেশিকা জানাতে বলেছিল বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার শীর্ষ আদালত পরীক্ষাগুলি বাতিলের বিষয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য বলেছে সিবিএসই-কে।
লকডাউনের কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির যে বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, ১ থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সিবিএসই। বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছে এমন কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যে পরীক্ষাগুলি নেওয়া হয়ে গিয়েছে তার নম্বর ও যেগুলি হয়নি সেগুলির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে গড়ে নম্বর গিয়ে ফলপ্রকাশের আর্জি জানানো হয়েছিল পিটিশনে।
লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর স্বাস্থ্যের কথা মাথা রেখে পিটিশনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল যে, লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্রছাত্রীরা করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতির গুরুত্বের কথা বিচার করে সিবিএসই বিদেশের প্রায় ২৫০ টি স্কুলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও পিটিশনে জানানো হয়। এখন বোর্ডের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা জানা যাবে শিগগিরই।