• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সারভানা ভবনের প্রতিষ্ঠাতার আজব দাবি খারিজ

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি আবেদন করেন যে, তাঁকে কারাদণ্ডের থেকে রেহাই দেওয়া হােক এবং  তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকাকেই জেলে থাকা হিসেবে মেনে নেওয়া হােক।

সারাভানা ভবনের প্রতিষ্ঠাতা পি রাজাগোপাল (Wikimedia Commons)

একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সারাভানা ভবনের মালিক পি রাজাগােপালের আজব দাবি প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট।

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি আবেদন করেন যে, তাঁকে কারাদণ্ডের থেকে রেহাই দেওয়া হােক এবং  তাঁর হাসপাতালে ভর্তি থাকাকেই জেলে থাকা হিসেবে মেনে নেওয়া হােক।

সারাভানা ভবনেরই এক কর্মচারীর স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্য ওই কর্মচারীকেই হত্যার অভিযােগে রাজাগােপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় সেই পরিস্থিতির কথা আদালতের সামনে তুলে ধরে রাজাগােপাল আবেদন করেন যে, তার হাসপাতালের বন্দিদশাকেই জেলবন্দি হিসেবে মেনে নেওয়া হোক। তার ওই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি এনভি রামন বলেন, যদি তিনি এতই অসুস্থ হয়ে থাকেন তাে শুনানি চলাকালীন তাঁর অসুস্থতার কোনও চিহ্ন কেন দেখা গেল না ?

এর আগে ২০০৯-এ রাজাগােপালকে জামিনে মুক্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট , কিন্তু গত ৭ জুলাই তিনি আত্মসমর্পণ করেন। সােমবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেন যে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। ২০০৪ সালে পি রাজাগােপালকে তারই সংস্থার এক কর্মচারী শান্তাকুমারকে অপহরণ ও খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় আদালত। রাজাগােপাল ও তাঁর অন্য ৮ সহযােগীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শােনান আদালতের বিচারক।

কিন্তু তার ৫ বছর পর ওই রায় খারিজ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট রাজাগােপালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।রাজাগােপালের বিরুদ্ধে অভিযােগ ছিল যে তিনি তাঁর সংস্থার কর্মচারী শান্তাকুমারের স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্যই তাঁকে অপহরণ করে খুন করেন। কেননা রাজাগােপাল মনে করেছিলেন, ওই মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁর জীবনে আরও সাফল্য আসবে।

১৯৯০ সালে নিজের জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুসারেই জীবজ্যোতি নামে ওই মহিলাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওই কাণ্ড ঘটান সারাভানা ভবনের মালিক।

জানা গেছে , জীবজ্যোতিকে বিয়ের আগেও তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজাগােপাল। কিন্তু দুই স্ত্রী সমেত বিবাহিত রাজাগােপালের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন জীবজ্যোতি।পরে ১৯৯৯ সালে শান্তাকুমারের সঙ্গে বিয়ে  হয় জীবজ্যোতির।

আদালতে আইনজীবী জানান , রাজাগোপাল জীবজ্যোতির বিয়ের পরেও এই বিবাহিত দম্পতিকে লাগাতার ভয় দেখাতেন ও তাদের বিবাহবিচ্ছেদের জন্যে চাপ দিতে থাকেন। এই ঘটনার পর  পুলিশের কাছে ওই দম্পতি অভিযােগ জানালে তার পরের  দিনই জীবজ্যোতির স্বামীকে অপহরণ করেন রাজাগােপাল ও পরে তাঁকে খুনও করেন। ওই কর্মচারীর দেহ কোদাইকানালের জঙ্গলে পাওয়া যায়।

রেস্তোরাঁর চেন ও সারাভানা ভবনের দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ২০টি আউটলেট রয়েছে। ওই সারাভানা ভবনেরই প্রতিষ্ঠাতা মালিক হলেন পি রাজাগােপাল।