উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হবে। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না।

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর কয়েক মাস আগে কলকাতা হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। হাইকোর্ট রায় দেয়, দু’মাসের মধ্যে আপার প্রাইমারির প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতি বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। সেই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

দীর্ঘ ৮ বছরের অপেক্ষা শেষে গত ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং। দুর্গাপুজোর আগে দু’টি পর্যায়ে এসএসসি-র পক্ষ থেকে চলে এই কাউন্সেলিং। প্রথম পর্যায়ে নিয়োগপত্র হাতে পান ১৮৬ জন। দু’দফায় সম্পন্ন করা হয় প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং পর্ব। ডাকা হয়েছিল মোট ২৫৪ জনকে। তাঁদের মধ্যে নিয়োগপত্র নেননি ৬৮ জন। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত টানা চলবে এসএসসি-র দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং পর্ব।


২০১৫ সালে আপার প্রাইমারি পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা পর্ব মোটামুটি নির্বিঘ্নে মিটলেও মেধাতালিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। একের পর এক মামলার জেরে থমকে যায় গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া। ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারির মেধাতালিকা বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৩ সালে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। যদি সেই তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয়নি আদালত।

আপার প্রাইমারির টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট। মোট ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় তাতে রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম। কিন্তু কাউন্সেলিং, সংরক্ষণ সহ নানা ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সমস্ত জটিলতা কেটে যাওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রকাশ করতে হবে মেধা তালিকা।

হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে ২৫ সেপ্টেম্বর ফের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ১৪,০৫২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করতে হবে এসএসসি-কে। যার মধ্যে জাতিগত এবং শিক্ষাগত তথ্যের গরমিলের কারণে এসএসসি-র পক্ষ থেকে বাদ দেওয়া হয় ৯৬ জন প্রার্থীর নাম।