• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ধর্মান্তরণ আইনে স্থগিতাদেশ জারি না করে খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের নােটিস 

বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ রােধে আইন কার্যকর করা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের কাছে ব্যাখ্যা চাইল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি নােটিস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও।

সুপ্রীম কোর্ট (File Photo: iStock)

ধর্মান্তরণ প্রতিরােধী আইন বৈধ কিনা তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ রােধে আইন কার্যকর করা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের কাছে ব্যাখ্যা চাইল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি নােটিস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও। চার সপ্তাহ পরে বিষয়টির ওপর শুনানি হবে। 

দেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমানাধিকার ও বৈষম্যহীনতার কথা বলা হয়েছে, সেখানে এই আইন কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। এর ভিত্তিতে বুধবার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। 

আইন কার্যকর করার ওপর এখনই স্থগিতাদেশ জারি করতে ইচ্ছুক নয় শীর্ষ আদালত। ওইতিন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নােটিসের জবাব এলে শুনানি করবে প্রধান বিচারপতি এসএ বােবদের নেতৃত্বধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 

ভিন্ন ধর্মে বিয়ে আটকাতে ‘লভ জেহাদ’ বলে তত্ত্ব তুলেছে দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। দীর্ঘদিন ধরে ‘লভ জেহাদ’ বিরােধী আইনের সপক্ষে সওয়াল করার পর নভেম্বরে অর্ডিন্যান্স জারি করে সেটিকে আইনে পরিণত করেছে উত্তরপ্রদেশের যােগী সরকার। এমনকি সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের জেল নির্ধারিত হয় এবং বিয়ের দু’মাস আগে সরকারকে নােটিশ না দিলে বিয়ে বাতিল হবে বলেও গণ্য হবে। 

আইন পাশের পর ওই রাজ্যে বহু ভিন্নধর্মী যুগল ও দম্পতিকে হেনস্থা, নির্যাতনের মত ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু এরপরও ‘লভ জেহাদ’এর অজুহাতে নৃশংসতার ঘটনা আটকানাে যায়নি। উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশেও ‘লভ জেহাদ’ আইন কার্যকর করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে দু’বছর আগে বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ প্রতিরােধী আইন পাশ করলেও মানুষকে হেনস্থার ঘটনা বন্ধ হয়নি।