দিল্লি, ২৫ জুলাই– কর্মীদের পদোন্নতি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে না ভাবা তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করার সমান৷ এমনটাই নির্দেশ জারি করল, দেশের শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি কর্মীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে৷ পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের৷ পদোন্নতিতে বাধা না দেওয়ার আদেশেই থেমে না থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহশানুদ্দিন আমানুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, কর্মক্ষমতা বা যোগ্যতা থাকলেই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পদোন্নতির সুযোগ দিতে হবে কর্মীদের! সংস্থাকে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
যে মামলাটি নিয়ে এই নির্দেশ সেটি বিহারের৷ ধর্মদেও দাস নামের বিহার ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের এক কর্মী অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে আন্ডার সেক্রেটারি পদে রয়েছেন তিনি৷ কিন্ত্ত সংস্থা তাঁর প্রমোশনের দাবি খতিয়ে দেখছে না৷ এই মর্মে পাটনা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ পাটনা হাই কোর্ট বিহার ইলেকট্রিসিটি বোর্ডকে নির্দেশ দেয় ওই কর্মীর পদোন্নতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সংস্থা৷
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, শুধু একটি পদে নির্দিষ্ট সময় কাজ করাটাই পদোন্নতির যোগ্যতা মান হতে পারে না৷ তবে কোনও কর্মী যদি যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেন, তাহলে পদোন্নতি তাঁর মৌলিক অধিকার৷ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাউকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করাটা মৌলিক অধিকার খর্ব করা৷