রাজ্য সরকারকে একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট
আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলাতেও ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে তীক্ষ্ণ ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দেশের ডাক্তারদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানি শুরু হতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ঘটনাটি মাত্র একটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট একটি ধর্ষণের বিষয় আর নেই। দেশজুড়ে তামাম ডাক্তারদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত ব্যবস্থাগত সম্পর্ক জড়িয়ে গিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঠেকাতে একটি সুপারিশ কমিটিও গঠন করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এই টাস্ক ফোর্স তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে শীর্ষ আদালতে। জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় সচিবরা। সেই জাতীয় টাস্কফোর্সে কারা কারা থাকছেন, তা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সলিসিটার জেনারেলের তুষার মেহেতা। তিনি যাদের নাম জানিয়েছেন তারা হলেন-
সার্জন (ভাইস অ্যাডমিরাল) আর সারিন, ডাঃ ডি নাগেশ্বর রেড্ডি, ডাঃ এম শ্রীনিবাস, ডাঃ প্রতিমা মূর্তি, ডাঃ গোবর্ধন দত্ত পুরী, ডাঃ সৌমিত্র রাওয়াত, ডাঃ পদ্ম শ্রীবাস্তব (নিউরোলজিস্ট, এআইআইএমএস ), অধ্যাপক অনিতা সাক্সেনা (প্রধান কার্ডিওলজিস্ট, এআইআইএমএস ), অধ্যাপক পল্লবী সাপ্রে (ডিন, গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজ, মুম্বই)।
এছাড়া জাতীয় টাস্ক ফোর্সের তত্বাবধানে থাকুন কেন্দ্রীয় সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি)চেয়ারম্যান, ন্যাশনার বোর্ড অফ এক্সামিনারসের প্রেসিডেন্ট।
এরপরই এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ দেয়। যার মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।
মহিলা এবং পুরুষ চিকিৎসকদের পৃথক বিশ্রামাগার থাকতে হবে।
- নার্সদের আলাদা রুম দিতে হবে।
- প্রত্যেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
- প্রতিটি হাসপাতালের করিডোরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো লাগাতে হবে।
- হাসপাতালের নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি চলবে না।
- সব হাসপাতালে নির্দিষ্ট অভিযোগ বাক্স রাখতে হবে, যা সর্বক্ষণ সচল থাকবে।
আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। বলেছে, আমরা চাই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআই আমাদের অবহিত করুক।