দিল্লি, ২৫ জুলাই– খনিজ পদার্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র৷ এই কর হার স্থির করা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের রায়, সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে রাজ্যগুলির৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূডে়র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে৷ এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের ১৯৮৯ সালের রায় খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ন’জন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির আইনসভা এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রয়্যালটির সঙ্গে করের কোনও সম্পর্ক নেই৷ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে স্বত্ব থেকে আয়ের (রয়্যালটি) যে অংশ দেয়, তা কর বলে বিবেচনা করা যেতে পারে না৷ রাজ্যগুলির তাদের ভৌগোলিক পরিসীমার মধ্যে উত্তোলিত খনিজ পদার্থের উপর স্বত্বাধিকার রয়েছে৷ তাই তারা করের হার স্থির করার অধিকারী৷ ন’জন বিচারপতির মধ্যে আট জনই এই রায়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন৷ একমাত্র বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ভিন্নমত প্রকাশ করেন৷
এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং খনি সংস্থাগুলি রাজ্যগুলিকে খনিজগুলির উপর রয়্যালটি বা করের হার স্থির ক্ষমতা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল৷ তাদের যুক্তি ছিল, প্রধান খনিজগুলি বিভিন্ন রাজ্যে অসম রয়েছে৷ কিছু রাজ্যে কয়লা, আকরিক লোহা, বক্সাইট এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ সম্পদ বেশি রয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে খনিজ-সমৃদ্ধ রাজ্যগুলি খনিজগুলির উপর ভারী কর আরোপ করে তাদের দাম বাড়াতে পারে৷ যা সামগ্রিক ভাবে জাতীয় অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে৷
অন্য দিকে, ঝাড়খণ্ড-সহ কয়েকটি রাজ্য খনিজের উপর কর নির্ধারণ এবং রয়্যালটি বণ্টনের ক্ষেত্রে অসাম্যের অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে৷ তাদের যুক্তি ছিল, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও খনিজ-সমৃদ্ধ অনেকগুলি রাজ্যই উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে৷ সেখানকার মানুষ দরিদ্র৷ শীর্ষ আদালতে সেই দাবি মেনে জানিয়েছে, যে রাজ্যের জমির উপর খনি তার মালিক কার্যত তারাই৷ সংবিধানের দ্বিতীয় তালিকার ৫০ নম্বর এন্ট্রি অনুযায়ী খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত সংসদের নেই বলেও জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ৷
