• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

‘নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না’, যোগী সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কানোয়ার বিতর্কে লাগাম শীর্ষ আদালতের দিল্লি, ২৬ জুলাই– শীর্ষ আদালতের জোর ধাক্কা উত্তরপ্রদেশ সরকারের৷ কানোয়ার যাত্রাপথে পড়া খাবারের দোকান, রেস্তরাঁ, ধাবায় মালিকদের নাম লেখা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিলেন কাউকেই নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় একইসঙ্গে যোগী সরকারের নির্দেশিকার উপর যে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল রাখা হয়েছে৷

কানোয়ার বিতর্কে লাগাম শীর্ষ আদালতের
দিল্লি, ২৬ জুলাই– শীর্ষ আদালতের জোর ধাক্কা উত্তরপ্রদেশ সরকারের৷ কানোয়ার যাত্রাপথে পড়া খাবারের দোকান, রেস্তরাঁ, ধাবায় মালিকদের নাম লেখা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিলেন কাউকেই নাম লিখতে বাধ্য করা যাবে না৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় একইসঙ্গে যোগী সরকারের নির্দেশিকার উপর যে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা বহাল রাখা হয়েছে৷ আগামী ৫ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ততদিন পর্যন্ত জারি থাকবে এই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ৷
চলতি মাসে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শুরু হতে চলেছে কানোয়ার যাত্রা৷ তার আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের নির্দেশিকায় গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ কারণ এই যাত্রাকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে, তার সবকটিতেই বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম৷ যার মূল উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদাভাবে চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলিকে৷ কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও৷ এই নির্দেশের মূল উদ্দেশ্য ধর্মীয় বিভাজন আরও স্পষ্ট করে তোলা, তেমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের৷
এই মামলা গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পেঁৗছলে যোগী সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়৷ সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, দোকানের মালিকদের নাম, ফোন নম্বর এবং কর্মীদের নাম উল্লেখ করায় কখনই জোর করা উচিত নয়৷ পুলিশ এক্ষেত্রে জোর করতে পারে না৷ দোকানে শুধুমাত্র কোন ধরনের খাবার বিক্রি করা হয় সেটি উল্লেখ করা যেতে পারে৷ একইসঙ্গে যোগী সরকারকে এই বিষয়ে নোটিসও দেওয়া হয়৷ শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে যোগী সরকারের তরফে আদালতকে জানানো হয়, কানোয়ার যাত্রা যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, সেই জন্যই দোকান মালিকদের নাম দোকানের সাইনবোর্ডে লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ পাশাপাশি সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ারও আর্জি জানানো হয় আদালতে৷ তবে সে আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত৷ এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, শীর্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘনের সামিল৷ ফুড সেফটি আইন ২০০৬ অনুযায়ী, খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতার নাম ডিসপ্লে করার নির্দেশ রয়েছে৷ যে তালিকায় হোটেল, রেস্তরাঁ, ধাবা পড়ে৷ সেই অনুযায়ী শীর্ষ আদালতের ‘নিষেধাজ্ঞা’ সঠিক নয়৷
উত্তরপ্রদেশ সরকারের যুক্তি পর পালটা আদালত প্রশ্ন করে যদি তাই হয় তবে কেন শুধুমাত্র একটি রাজ্যেই তা লাগু হচ্ছে৷ প্রমাণ করুন এমন আইন সব রাজ্যে লাগু রয়েছে৷ পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ৬০ বছর ধরে কানোয়ার যাত্রা চলছে৷ এবার এমন নির্দেশ জারি না হলেও কানোয়ার যাত্রায় কোনও প্রভাব পড়ত না৷