• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের

গণতন্ত্রের বিক্ষোভ অবস্থান পদ্ধতি এক গ্রহণযােগ্য পন্থা হিসেবে গৃহীত। কিন্তু শাসন ক্ষমতায় যারা একবার অধিষ্ঠিত হন তারা এর প্রতি কোনও আমল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

কৃষক আন্দোলন (File Photo: IANS)

কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন তথা বিক্ষোভ অবস্থান দীর্ঘতর হচ্ছে। এর আগে দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইন বলবতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দীর্ঘদিন চলেছিল। গণতন্ত্রের এই বিক্ষোভ অবস্থান পদ্ধতি এক গ্রহণযােগ্য পন্থা হিসেবে গৃহীত। কিন্তু শাসন ক্ষমতায় যারা একবার অধিষ্ঠিত হন তারা এর প্রতি কোনও আমল দেওয়ার প্রয়ােজন মনে করেন না।

তবে বিক্ষোভ অবস্থানের ফলে যখন সাধারণ মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি হয় তখন আদালতের পক্ষে কোনও কোনও সময় স্বতপ্রবৃত্ত হয়ে অবস্থান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বােবদে এব্যাপারে কড়া অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে একগুচ্ছ মামলার শুনানি অবসরকালীন বেঞ্চে চালু করার জন্য আবেদন জানানাে হয়।

এব্যাপারে প্রধান বিচারপতি জানান, সরকারের কোনও আইন নিয়ে মানুষের বিক্ষোভ দেখানাের মৌলিক অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের সামঞ্জস্যবিধান বা খর্ব করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে কোনও ব্যক্তির জীবন বা সম্পত্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা দেখতে হবে। কিন্তু আইন বলবৎ করার মধ্যেই যাবতীয় শয়তানি লুকিয়ে রয়েছে। এমন বিক্ষোভ তা কৃষক বা অন্য কারও হােক, তা কেউ সমর্থন করতে পারেন বা বিরােধিতা করতে পারেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতির হাতেই রয়েছে বিক্ষোভকারীদের এবং বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া নাগরিকদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব।

দেশের প্রতিটি শহর এবং রাজ্যের রাজধানী এবং জেলা শহরে ৪ বিক্ষোভের গুরুত্ব বুঝে অবস্থানের স্থান নির্দিষ্ট করার নির্দেশ দিতে হবে। এজন্য বিস্তারিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি ঘােষণা করা জরুরি। বিক্ষোভকারীর সংখ্যা একশাে জনের হলে তা দিল্লির যন্ত্রমন্তর বা কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে করা ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু সংখ্যা এক লাখ হলে তা দিল্লির রামলীলা বা বুরারি ময়দানে এবং কলকাতায় বিগ্রেড প্যারেড গ্রাউন্ডে করতে হবে।

বিক্ষোভকারীদের সামাল দেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশেষ পুলিশ বাহিনী রাখতে হবে। বিক্ষোভকারীদের অতি আগ্রাসী মনােভাবের কারণে সাধারণ বা ব্যক্তিগত কোনও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আদায়ের জন্য আইন থাকাও জরুরি। বিক্ষোভ স্থানে জমায়েত হওয়ার জন্য নিজেদেরই যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তা সকল আইন কানুন মেনেই চলাচল করতে হবে। কিন্তু ভােটের দিকে তাকিয়ে কোনও সরকারই এব্যাপারে খুব বেশি উৎসাহ দেখায় না।