করােনা সংক্রমণের ভয়ে ডিজিটাল স্ক্রিনে বন্দি হয়েছিল আদালতের শুনানিও। চলতি মাস থেকে দেশে দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই অনলাইন মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে দেশের শীর্ষ আদালত।
শনিবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানানাে হয়, আগামী ১৫ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শুরু হবে হাইব্রিড মােডে। অর্থাৎ আইনজীবীরা অনলাইনের পাশাপাশি চাইলে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানাে হয়, ১৫ মার্চ থেকে প্রতি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার যে মামলাগুলির চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা তা অনলাইন ও অফলাইন দু’ভাইে করা হবে। আইনজীবী সশরীরে উপস্থিত থাকতে চান, নাকি বাড়ি থেকেই সওয়াল করতে চান তা তারা নিজেরাই ঠিক করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসাবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার হাইব্রিড মােডে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়া চালানাে হবে।
তবে কোর্ট রুমের আয়তন, দু’পক্ষের তরফে উপস্থিত ব্যক্তি ও অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বিবেচনা করেই মাননীয় বিচারপতিদের বেঞ্চ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। বাকি দিনগুলি অর্থাৎ সােমবার ও শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই আপাতত শুনানি চলবে।
আদালতের তরফে বলা হয়েছে করােনা পরিস্থিতির মাঝেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতেই এই পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বিষয়টিই পরীক্ষামূলক। আগামী দিনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাননীয় বিচারপতিদের বেঞ্চ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইতিমধ্যে বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং তাদের পরিবারকে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চলতি সপ্তাহ থেকেই বিচারপতিদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিকে দিল্লির বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও সম্প্রতি টিকাকরণের দাবি তুলেছিলেন। দিল্লি আদালতের তরফে একটি স্বতঃপ্রণােদিত মামলাও দায়ের করা হয়েছে।