• facebook
  • twitter
Tuesday, 26 November, 2024

জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরুর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া কলকাতা মেট্রো রেলের কাজের জন্য আর কোনও গাছ কাটা বা অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো প্রকল্পের জট কাটল। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পরিবেশ মন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া কলকাতা মেট্রো রেলের কাজের জন্য আর কোনও গাছ কাটা বা অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা যাবে না। বুধবার বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।

জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের জন্য ময়দান এলাকায় কয়েকশো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, এই অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি সংগঠন। মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় ৭০০ গাছ কাটা পড়তে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন কলকাতা’ নামে একটি সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল, ময়দান এলাকা শহরের ফুসফুস। সেখানে এত গাছ কাটা হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে।

হাইকোর্ট এই বিষয়ে মেট্রোর কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান,  মেট্রো প্রকল্পের জন্য ৮২৭টি গাছ  হয়েছে বলা হলেও, প্রকৃত ঘটনা হল কোনও গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়নি। অন্যত্র প্রতিস্থাপনের জন্য গাছগুলি উপড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন ৯৪টি গাছ অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, ‘মেট্রো কাজের জন্য নতুন করে আর গাছ কাটার দরকার হবে না। কারণ, ওই এলাকায় সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে মেট্রো যাবে।’

তুষার মেহতা নতুন করে গাছ না কাটার কথা বললেও সেই যুক্তি মানতে চাননি মামলাকারী। তাঁর আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তের বক্তব্য, ‘ওই জায়গায় স্টেশন তৈরির হওয়ার কথা। ফলে নতুন করে গাছ কাটা হতে পারে। তা ছাড়া গাছ অন্যত্র লাগালে বাঁচে না। কারণ, তার সঠিক পরিচর্যা হয় না।’  তাঁর যুক্তি, প্রতিস্থাপনের ফলে অনেক গাছ মরে গেছে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। নাগপুর-বম্বে জাতীয় সড়ক তৈরির সময়ও গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু একটি গাছও বাঁচেনি। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ জানায়, আটকে থাকা মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন করে গাছ কাটা বা প্রতিস্থাপনের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হবে।