করোনা রুখতে হঠাৎ করে দেশজোড়া কঠোর লকডাউনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই সর্বনাশ করেছে দেশের অর্থনীতির। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে এ নিয়ে রীতিমতো তুলোধনা করল। এছাড়াও, মোরাটোরিয়াম নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানও স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার একটি মোরাটোরিয়াম সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্তব্য জানান বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এমআর শান্ত্রে ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, মোরাটোরিয়ামের পরেও ব্যাঙ্ক কেন অতিরিক্ত সুদ নিচ্ছে। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে সরকার কী ভাবছে তাও স্পষ্ট করতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে রীতিমত ভৎর্সনা করে আদালত। আদালতের অভিযোগ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঢাল বানিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে চাইছে কেন্দ্র। দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি যে যথেষ্ট উদ্বগজনক তা জানিয়ে বিচারপতি শাস্ত্রে বক্তব্য, কেন্দ্র ব্যবসা নিয়ে ভাবছে। এটা সেরকম সময় নয়।
এ দিন কেন্দ্রের হয়ে আদালতে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ঋণের মোরাটোরিয়াম নিয়ে এখনও সরকার কোনও হলফনামা দাখিল করেনি। এ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। এরপর হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সলিসিটর জেনারেল আদালতের কাছে আরও এক সপ্তাহ সময় চান।
প্রসঙ্গত, ৬ মাসের মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অগস্ট। মামলাকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের কাছে আর্জি জানান, মোরাটোরিয়াম নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার কারণে বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মোরাটোরিয়ামের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য। তা ছাড়া অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার নিয়ে আরবিআই-এর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন সিব্বল।
সিব্বলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন সরকারি কৌসুলী। তবে এ বিষয়ে সরকারকে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাঙ্কের অতিরিক্ত সুদ নেওয়ার ব্যাপারেও কেন্দ্রকে খতিয়ে দেখতে বলেছে আদালত।