বড়সড় স্বস্তিতে যোগগুরু বাবা রামদেব তথা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের মালিক বালকৃষ্ণ। মঙ্গলবার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে দোষমুক্ত হলেন তারা। যোগগুরু এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভবিষ্যতে যেন একই ভুল (আদালত অবমাননা) না হয়, এই বিষয়ে সতর্ক করে তবেই রামদেবকে রেহাই দিল আদালত।
এদিন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার নির্দেশিকায় বলা হয়, “আমরা কঠোর ভাবে সতর্ক করছি, এই মামলার মতো ভবিষ্যতে যেন আদালত অবমাননা না হয়।”
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) রামদেব ও বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে একটি আর্জি জানিয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ তাদের সামগ্রীকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বিভ্রান্তিকর শব্দ দ্বারা প্রচার চালাচ্ছে। বিশেষত একটি ওষুধকে কোভিডকালে তার অব্যর্থ বলে ভুল প্রচার করে মানুষকে প্রভাবিত করেছিল। শুধু তাই নয়, আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে রামদেব অ্যালোপেথিক ওষুধের কুফল ও আয়ুর্বেদিক সামগ্রীর আশ্চর্য ক্ষমতা বলে প্রচার করেন। তারপর রামদেব ও বালকৃষ্ণকে সশরীরে হাজিরার তলব করা হলেও তাঁরা হাজিরা দেননি। তারপরেই আদালত অবমাননার মামলা হয়।
এছাড়াও কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। এর জন্য ‘মিথ্যা’ প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে যোগগুরুর সংস্থার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। এই মামলাই অবশেষে বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট।
সর্বোচ্চ আদালতে রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এই স্বস্তি পাওয়ার কারণ হল, তাঁরা বারংবার হলফনামা জমা দিয়ে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এমনকী দেশের সবকটি বড় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নেন। তাই তাঁদের ক্ষমা গ্রহণ বিচারপতি হিমা কোহলি এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ একটি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আদালত বলেছে, ভবিষ্যতে এই মুচলেকায় বর্ণিত কোনও শর্ত লঙ্ঘিত হলে অবমাননার মামলা ফের খোলা হবে।