আর জি কর কাণ্ডে কড়া সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে আদালত। ২২ অগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে সেই টাস্ক ফোর্স। আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও প্রশ্ন করে আদালত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, তরুণ চিকিৎসক, ইন্টার্ন, বিশেষত মহিলা চিকিৎসকদের কর্মস্থলে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুরক্ষার জন্য একটা প্রোটোকল তৈরি হওয়া উচিত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আর জি কর মামলার প্রথম শুনানি চলছে।
মঙ্গলবার আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বেঙ্গল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য আবেদনকারীদের আইনজীবীরাও হাজির হন। শুনানির সময়, সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে সহায়তা করবেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছি কারণ এটি কেবল কলকাতার একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা নয়, এটি দেশের চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়। বিশেষ করে মহিলা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও তাদের কাজের সময়ের বিষয়টি রয়েছে। নারী সুরক্ষা দিতেই হবে আমাদের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা শুধু ধর্ষণের ইস্যু আছে বলেই নয়। এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং ভুক্তভোগীর নাম সমস্ত মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি দেখানো হয়েছে, এটা উদ্বেগজনক। আমাদের সিদ্ধান্ত হল, ধর্ষণের শিকার মহিলার নাম প্রকাশ্যে প্রকাশ করা যাবে না। এমনকী তার ছবিও এখানে দেখানো হবে না।
সপ্তাহ খানেক আগে আর জি কর হাসপাতালে এক ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের সেমিনার কক্ষ থেকে ওই ট্রেনি চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হত্যার আগে তাঁকে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার সে দোষ কবুলও করে।
প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালালেও দিন কয়েক আগে ধর্ষণ-খুব কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্ত চলাকালীনই আবার আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
‘রাত দখল’ কর্মসূচি চলাকালীন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমে ভাঙচুর চালানো হয়।