জমির বদলে চাকরির মামলায় তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে সমন 

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া  হল লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে। ৭ ই অক্টোবর হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব তেজপ্রতাপ যাদব-সহ মোট ৮ জনকে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চাকরির বিনিময়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এবার লালুপুত্র তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধেও সমন জারি করেছে  আদালত। এই মামলায় প্রথমবার তেজপ্রতাপ যাদবকে  তলব করা হয়েছে।
 

প্রথমবার তেজপ্রতাপকে এই মামলায়  তলব। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুর্নীতিতে তেজপ্রতাপ যাদবের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না, সেওজন্যেই তাঁকে সমন করা হয়েছে।  ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। অভিযোগ, এই সময় জমি ও টাকার বিনিময়ে বিহারের বহু যুবককে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়। লালু ও তেজস্বীর পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। একাধিক অভিযোগের জেরে ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। তদন্তকারীদের তরফে দাবি করা হয়, চাকরির বিনিময়ে বহু যুবকের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। 

 
ইডির পাশাপাশি কয়েক বছর আগেই এই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই।  ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল লালু, রাবড়ী এবং তেজস্বীর বিরুদ্ধে। ইডি প্রমাণ হিসাবে  ৯৬টি নথির ভিত্তিতে  ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে  চার্জশিট দাখিল করে। এবার এই মামলায় প্রকাশ্যে এল লালুর আর এক পুত্র তেজপ্রতাপের যোগ।
 
প্রসঙ্গত, তেজপ্রতাপ যাদবের বিরুদ্ধে এর আগে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর স্ত্রী। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করেন তেজপ্রতাপ। সেই মামলার শুনানি হয় পাটনার আদালতে।  আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে তেজপ্রতাপের বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়।  যার পরিণতি হয় দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙ্গন দিয়ে।