ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রীর সুমিত্রা মহজন। তাঁকে ইন্দোর থেকে টিকিট দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে দলের মধ্যে উভয় সংকট তৈরি হয়।তিনি পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন,ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রে দল কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহজন বলেন,’দলের মধ্যে আমাকে টিকিট দেওয়া নিয়ে উভয়সঙ্কটের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল,তার অবসান ঘটানো খুব জরুরী বলে মনে করে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করি। শুধু তাই নয়, ইন্দোর কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে দল সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে’। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,’ ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে কাজ করার পাশাপাশি দলের হয়ে প্রচারও চালাব’।তাঁর কথায়, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্রে দল নতুন কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারছিল না। পাশাপাশি ৭৫ বছরের নেত্রীকে টিকিট দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে ঘোরতর জল্পনা চলছিল।
সম্প্রতি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন,৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে এমন কোনো নেতা-নেত্রীকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হবে না বলে দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।ফলে মুরলী মনোহর যোশী ও এল কে আদভানি নেতাদের টিকিট দেওয়া হবে না।যদিও তিনি টিকিট দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।১৯৮৯ সালে লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন সুমিত্রা মহাজন। তারপর টানা সাতটি লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রশাসনে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, টেলিকম ও পেট্রোলিয়াম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি যখন ফের ক্ষমতায় এল, তখন লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।