রেল পরিষেবা নিয়ে সংসদের পাব্লিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে সোচ্চার হলেন বিরোধীরা। এদিন বাংলার স্বার্থ নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেল বোর্ডের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সতীশ কুমার। এদিন তিনি ট্রেনের গতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলে দাবি করলেও তাঁকে একাধিক প্রশ্নে বিদ্ধ করেন সুখেন্দুশেখর। এছাড়াও তাঁকে এদিন প্রশ্ন করেন সৌগত রায় তিরুচি শিবার মতো সাংসদরাও।
অডিট রিপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, গোটা দেশের মধ্যে ব্যস্ততম দিল্লি-হাওড়া রুটেই ট্রেন চলাচলে সবচেয়ে বেশি দেরি হয়। রেল মন্ত্রক মালগাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে রাজস্ব হারাচ্ছে। দেরিতে রেল চোলাই এর মূল কারণ। অথচ রেললাইনের উন্নয়নে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করেছে। উল্লেখযোগ্য হল, শাসক দলের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, অনুরাগ ঠাকুরও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে গলা মেলান। সূত্রের খবর, বন্দে ভারতের মতো বেশি ভাড়ার ট্রেনের জন্য অল্প ভাড়ার ট্রেনগুলি সমস্যায় পড়ছে।
জানা গিয়েছে, অডিট রিপোর্টের একটি অংশ তুলে ধরে সুখেন্দুশেখর প্রশ্ন তুলেছেন , জলন্ধর থেকে শোননগর পর্যন্ত করিডোরের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গত ১৬ বছরে শোননগর-ডানকুনির কাজ শুরু করা গেল না কেন ? রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জবাবে জানান, বিনিয়োগকারী না মেলায় কাজ শুরু করা যায়নি। সুখেন্দু তার পাল্টা প্রশ্ন করেন, সংবাদমাধ্যমে বিনিয়োগকারীর সন্ধান করে সংবাদমাধ্যমে কতবার নোটিস ছাপা হয়েছে ? এর বিস্তারিত কপি কমিটিকে দেওয়া হোক।
আরজি কর কাণ্ডে দলের বিপরীতে অনেক সময়ই বার বার নিজের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনের পথেও হেঁটেছেন। এদিন আবার দলের হয়ে সংসদের পিএসি বৈঠকে সরব হলেন তিনি।