• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজ্যসভায় মনোনীত সুধা মূর্তি 

দিল্লি, ৮ মার্চ – রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেলেন ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুধা মূর্তিকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেন।  আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে সমাজকর্মী সুধা মূর্তিকে  রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ সামাজিক, মানবিক এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সুধা মূর্তির অবদান সবার

দিল্লি, ৮ মার্চ – রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেলেন ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুধা মূর্তিকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেন।  আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, নারী শক্তির প্রতীক হিসেবে সমাজকর্মী সুধা মূর্তিকে  রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ সামাজিক, মানবিক এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সুধা মূর্তির অবদান সবার জানা। রাজ্যসভায় তাঁর উপস্থিতি নারী শক্তির প্রতীক হয়ে উঠবে। জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে নারীদের শক্তি এবং দক্ষতা বারবার প্রমাণিত হয়েছে।  রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে তাঁর আগামী দিনগুলোর জন্য শুভেচ্ছা জানাই।’

ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির স্ত্রী হলেও সুধা মূর্তি সমাজকর্মী হিসেবে বিশেষ পরিচিত। টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানির প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে তিনি ইনফোসিসে যোগ দেন। এছাড়াও তার লেখা একাধিক বই রয়েছে। ২০১১ সালে কন্নড় সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য আর কে নারায়ণ পুরস্কার পেয়েছিলেন। সুধা মূর্তির জন্ম ১৯৫০ সালে উত্তর কর্নাটকের হাভেরি জেলার শিগ্গাঁওয়ে। নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। কন্যা অক্ষতা মূর্তি হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনকের স্ত্রী। কর্নাটকে ৬০ হাজারের বেশি গ্রন্থাগার নির্মাণ করেছেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান । ২০২৩ সালে ভারত সরকারের তরফে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়। 

এর আগেও সুধা মূর্তির রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়ায়। তাঁর আরও একটি পরিচয় তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর শাশুড়ি। তাঁকে প্রশ্নও করা হয়, এতগুলি ভূমিকায় সফল হওয়ার পর কি তাঁকে রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে ? তখন তাঁর জবাব ছিল, ‘আমি বর্তমানে যে ভূমিকায় রয়েছি, তা নিয়েই খুশি। যেমন আছি, তাতেই সুখী।’ 

সুধা মূর্তির স্বাধীন পরিচয় সত্ত্বেও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে লোকসভা ভোটের মুখে তাঁর রাজ্যসভার সদস্যপদে মনোনয়ন নিয়ে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে,  দাক্ষিণাত্য অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে পদ্ম শিবির। বিশেষত গতবছর কর্নাটক বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের কাছে হেরেছে বিজেপি। বারের লোকসভা ভোটে বিজেপি দক্ষিণ ভারতকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে। কেরল ও কর্নাটক নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পদ্ম শিবির। বিশেষ করে কর্নাটকে পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারছে না দিল্লির নেতৃত্ব। সুধা মূর্তি কর্নাটকসহ দক্ষিণ ভারতে একটি পরিচিত নামই শুধু নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি তাঁর মানবিক কাজকর্মের জন্য পরিচিত। ফলে দক্ষিণ ভারতের  রাজনীতিতে সুধা মূর্তির পরিচ্ছন্ন, ‘মূর্তি’কে তুলে ধরা নির্বাচনের মুখে মুখে এক বড় চমক।