ফের উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠলাে কাশ্মীর। বুধবার সকালে অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আহত ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর বলে খবর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের কুলগাম এলাকায়।
কুলগামের শামসিপােরা এলাকায় এদিন নাকাতল্লাশি চালানাের সময় হঠাৎই জঙ্গিরা হামলা চালায়। সে সময় কর্তব্যরত সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে জঙ্গিরা। এলােপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে । অতির্কিত এই হামলায় রীতিমতাে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলি লাগে দুই জওয়ানের শরীরে। ঘটনায় আরও একজন সেনা জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। যদিও পাল্টা জবাব দেন সেই জওয়ানরা । কিন্তু ততক্ষণে এলাকা। ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। গুলিবিদ্ধ দুই জওয়ানকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানাে হয়েছে। মােট তিনজনের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গােটা জম্মু-কাশ্মীরকে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুরাে এলাকা কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই অনুপ্রবেশের একটি পরিকল্পনা বানচাল করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী ও বিএসএফ। উদ্ধার করা হয় ১৫০ মিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গ। জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় পাকিস্তান সীমান্ত বাবর এই সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তল্লাশি চালানাের সময় টানেলটি খুঁজে পায় বিএসএফ।
বিএসএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গটি জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্যই বানানাে হয়েছিল। কাঠুয়ার পানসর এলাকায় উদ্ধার হওয়া টানেলটি ১৫০ মিটার লম্বা ও ৩৩০ মিটার গভীর। ৩ ফুট চওড়া টানেলটি যেখানে তৈরি করা হয়েছে,
সেখানেই ২০২০ সালের জুন মাসে একটি পাক ড্রোন বা হেক্সাকপ্টারকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ।
ড্রোনটিতে ভর্তি ছিল অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। বিএসএফ জানিয়েছে, পানসর এলাকার হিরানগর সেক্টরে বর্ডার আউটপােস্টের কাছে উদ্ধার হয় গুপ্ত টানেলটি। দিন দশেক আগেই হিরানগর সেক্টরের কাছে আরেকটি অপেক্ষাকৃত ছােট টানেল উদ্ধার হয়। একের পর এক টানেলের মাধ্যমে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।