• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

“আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজন”

কলকাতায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত আলোচনায় মত বিশেষজ্ঞদের নিজস্ব প্রতিনিধি :  “২০৩০ সালের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবে যখন পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের বিষয় সমস্ত কিছু জানা থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের।” গুগলের প্রাক্তন সিইও ডঃ এরিক এর এই ভবিষ্যৎবাণী কিন্তু মানব সভ্যতার জন্য বড় সতর্কবার্তা । আর গুগলের প্রাক্তন কর্ণধারের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই কলকাতার

কলকাতায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত আলোচনায় মত বিশেষজ্ঞদের
নিজস্ব প্রতিনিধি :  “২০৩০ সালের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবে যখন পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের বিষয় সমস্ত কিছু জানা থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের।” গুগলের প্রাক্তন সিইও ডঃ এরিক এর এই ভবিষ্যৎবাণী কিন্তু মানব সভ্যতার জন্য বড় সতর্কবার্তা ।
আর গুগলের প্রাক্তন কর্ণধারের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই কলকাতার উপকণ্ঠে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব বা নিউটাউনের অন্যতম রূপকার হিসেবে পরিচিত হিডকো-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন  মানব সভ্যতা এবং বর্তমান চাকরির ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব তুলে ধরে সতর্ক করলেন অবিলম্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন যথাযথ আইন।
ক্যালকাটা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্য নেক্সট ওয়েভ – শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে দেবাশীষ সেন বলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কয়েক বছর আগেও যে জায়গায় ছিল তা কিন্তু এখন আমূল বদলে গিয়েছে। কলকাতায় যখন প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মাধ্যমে তৈরি সোফিয়াকে আনা হয়েছিল তা ছিল শুধুমাত্র প্রি প্রোগ্রামিং করা একটি রোবটের মত। কিন্তু এখন আর সেই সংকীর্ণতার মধ্যে আটকে নেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অথবা চ্যাটজিপিটি-র মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তাই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে গ্লোবাল কো-অপারেশন প্রয়োজন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য। না হলে অদূর ভবিষ্যতে এমন সময় আসতে পারে যখন ভারত বর্ষ সহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।” আলোচনা সভায় অন্যতম বক্তা ছিলেন ইন্ডিয়ান স্কুল অফ অ্যান্টি হ্যাকিং এর ডিরেক্টর সন্দীপ সেনগুপ্ত । পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সুমেশ দুগার, ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনন্ত শাহারিয়া, ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঝুনঝুনওয়ালা এবং ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট হরিশংকর হালোয়াসিয়া।
বিভিন্ন প্রজেক্টে  কলকাতা পুলিশ কেউ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, “অন্যান্য যে কোনো নতুন প্রযুক্তির মত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এরও ভালো এবং খারাপ উভয়ের ধরনের ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যেমন কোন কোম্পানির সেই বা কর্ণধারের ডিপফেক ভিডিও ব্যবহার করে সংস্থা সম্পর্কে তার মুখ থেকে অত্যন্ত নেগেটিভ বক্তব্য সর্বত্র প্রচার করে রাতারাতি সেই সংস্থার শেয়ার পতন করানো যায়। আবার কলকাতার মতো শহরের কিছুদিন ধরে যেমন একটা নতুন ধরনের অপরাধ শুরু হয়েছে। জামতাড়া গ্যাং -এর মতো কিছু সংগঠিত অপরাধী আপনার সন্তানের ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জোগাড় করে তার মাধ্যমে ভিডিও বা হুবহু নকল ভয়েস স্যাম্পেল তৈরি করছে। আপনি হয়তো অফিসে রয়েছেন সেই সময় ফোন করে জানালো আপনার সন্তান কোন নারকোটিক কেসে ধরা পড়েছে। পুলিশকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সন্তানকে ছাড়ানোর অফার দেয় এরা।”
তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ বা অপরাধ মূলক ব্যবহার ঠেকাতে বিভিন্ন ফ্যাক্ট চেকার ওয়েবসাইটের সাহায্যে নেওয়া যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন সন্দীপ সেনগুপ্ত।