গত কয়েকদিনে শ্রীনগর ও তার আশেপাশে কয়েকজন নিরীহ মানুষ জঙ্গিদের হাতে খুন হন। এর পরেই মুখ খুলেছেন জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের শেষ রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বর্তমানে মেঘালতের রাজ্যপাল সত্যপাল দাবি করেন, তার আমলে জঙ্গিরা শ্রীনগরের ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আসতে সাহস পেত না।
তার কথায়, যব থা তব কুছ নেহি হো রহা তা। না পাখরবাজি হো রহি থি, না কোই মর রহি থি। এখন জঙ্গিরা প্রকাশ্যে শ্রীনগরে খুন করছে। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন সত্যপাল। তাঁর আমলেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করা হয়।
তিনি বলেন, কাশ্মীরে যেভাবে ভিনরাজ্যের মানুষ খুন হচ্ছেন তা অত্যস্ত যন্ত্রণাদায়ক। অন্য এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কৃষকদের দাবি মানা না হয়, তাহলে বিজেপি আর ক্ষমতায় আসবে না।
পরে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার সাহসই পাচ্ছেন না। মেঘালয়ের রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়, কৃষকদের সমর্থনে তিনি কি পদত্যাগ করবেন? তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থন করেছি, পদত্যাগ করার দরকার নেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত রেল রোকের ডাক দিয়েছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেই মতো সকাল থেকে পাঞ্জাব সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রেনলাইনে বসে পড়েন। ১৬০ টির বেশি ট্রেনের চলাচল ব্যাহত হয়।
রেলসূত্রে খবর, ফিরোজপুর ডিভিশনের চারটি সেকশনে এদিন অবরোধ হয়। ফিরোজপুর-ফাজিলকা সেকশন ও ফিরোজপুর-লুধিয়ানা সেকশনে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, বিভিন্ন জেলায় এদিন রেল অবরোধ হয়েছে। সরকার এখনও আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে না।
রবিবার লখনউ পুলিশ জানিয়েছিল, যারা রেল রোকো আন্দোলনে অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি আইনে ব্যবস্থা হবে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, অজয় মিশ্র ঘৃণা ছড়ান। তিনি হিন্দু ও শিখদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছেন। তাঁর গাড়িই আন্দোলনরত কৃষকদের চাপা দিয়েছিল। পুলিশ তার ছেলেকে তলব করা সত্ত্বেও তিনি ছেলে ও তার কয়েকজন বন্ধুকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।