• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজ্যগুলি সিএএ চালু করতে বাধ্য : কপিল সিব্বল

কোনও রাজ্যই বলতে পারে না সিএএ কার্যকর না করার কথা। এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল।

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল। (File Photo: IANS)

কোনও রাজ্যই বলতে পারে না সিএএ কার্যকর না করার কথা। এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল। পশ্চিমবঙ্গ সহ বহু রাজ্য ইতিমধ্যে সিএএ, এনপিআর ও এনআরসি’র বিরােধীতা করেছে। অসমও অগ্নিগর্ভ হয়েছে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বাম শাসিত কেরলও সিএএ’র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। পঞ্জাব ও কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে এই আইনের বিরুদ্ধে। বিহার বিধানসভায়ও নীতিশ কুমার বলেছেন এই নিয়ে বিতর্ক প্রয়ােজন। 

এমনই এক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে কেরলের এক অনুষ্ঠানে সিব্বল বলেন, ‘সংসদে পাশ হওয়ার পর কোনও রাজ্য সিএএ কার্যকর না করার কথা বলতে পারে না। বিরােধিতা করতে পারে রাজ্য। এমনকী বিধানসভায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ করতে পারে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য আর্জি জানাতে পারে এই আইন প্রত্যাহার করার বিষয়ে। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন রাজ্যে কার্যকর করবাে না এটা বলা সম্ভব নয়। কারণ এটা বললে তা হবে অসাংবিধানিক।

এ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল আরও বলেন, এনপিআরের উপরে এনআরসি নির্ভরশীল। অনেক রাজ্যই বলছে রাজ্যস্তরের আধিকারিক কেন্দ্রের সঙ্গে এই ইস্যুতে সহযােগিতা করবেনা কিন্তু বাস্তবে এটা সম্ভব কিনা তা সময়ই বলবে। কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, সাধারণত কেন্দ্রীয় আইন মেনেই রাজ্যগুলিকে কাজ করতে হবে। কপিল সিব্বলের মন্তব্যকে এই প্রেক্ষাপটেই বিচার করা উচিত। তবে সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে তা চলবে। এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস নিয়েছে।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা হয়েছে এই ইস্যুকে সামনে রেখে তার শুনানি হবে ২২ জানুয়ারি। ফলে বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন। এদিকে বিজেপি অবশ্য উল্লসিত। তাদের বক্তব্য কপিল সিব্বল এতদিন পরে যে কথা বলছেন সেই কথাই এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা বলে আসছেন। সিব্বল সেই কথাই মেনে নিলেন।

অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন, পাকিস্তানে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সাহায্য করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধি, জওহরলাল নেহরু। সেই সময় বাংলাদেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সাহায্য করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল কে আদবানিকে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং। আর এখন কংগ্রেস নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনের বিরােধিতা করে রাজনৈতিক ফায়দা তােলার চেষ্টা করছে।