দীপাবলি-ছটের ভিড়ে বিশৃঙ্খলা, মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশনে পদপিষ্ট ১০ জন

ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি। আর তার জেরেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল মুম্বইয়ের বান্দ্রা টার্মিনাস স্টেশনে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের জেরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটল। রবিবার সকালে বাড়িমুখী যাত্রীদের ভিড় প্ল্যাটফর্মে এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এর জেরে পদপিষ্ট হন ১০ জন যাত্রী। চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাত্রীরা ২২৯২১ বান্দ্রা-গোরখপুর এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ট্রেন আসতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। আর তার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। আহত যাত্রীদের বান্দ্রার ভাবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। দীপাবলি এবং ছটের উৎসব উদযাপনে বিপুল সংখ্যক এখন বাড়ি ফিরছেন। উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁদেরই একটা বড় অংশ এদিন বাড়ি ফিরছিলেন।

রবিবার সকালের বান্দ্রা-গোরখপুর এক্সপ্রেসের জন্য প্রচুর যাত্রী ভিড় জমান বান্দ্রা টার্মিনাসে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সাপ্তাহিক বান্দ্রা-গোরখপুর এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। রবিবার সকালে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে দেরি করে আসার কারণেই যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সাধারণ বগিতে ওঠার জন্য মানুষের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে ধাক্কাধাক্কা শুরু হয়ে যায়। এর জেরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।


আহতেরা হলেন – সাবির আব্দুল রহমান, পরমেশ্বর গুপ্তা, রবীন্দ্র চুমা, রামসেবক রবীন্দ্র প্রজাপতি, সঞ্জয় কাঙ্গে, দীবাংশু যাদব, মহম্মদ শরীফ শেখ, নূর মহম্মদ শেখ এবং ইন্দ্রজিৎ সাহানি। সকলেই গোরক্ষপুরের বাসিন্দা।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। অনেকের কোমর ভেঙে গিয়েছে। আহত দু’জনকে সামান্য চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রবিবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।