শ্রীনগর, ২৪ জুন – ‘বিশ্ব কারুশিল্পের শহর’-এর খেতাব জিতে নিল জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর। ভূস্বর্গের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর তার চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। এবার ‘ওয়ার্ল্ড ক্রাফ্টস কাউন্সিল’-এর বিচারে বিশ্বসেরা কারুশিল্পের শহরের খেতাব জিতে নিয়েছে শ্রীনগর। ‘ওয়ার্ল্ড ক্রাফ্টস কাউন্সিল’-এর তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। এই শহরের ঐতিহ্যশালী হস্তশিল্প, কারুশিল্প, লোকায়ত সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।এই স্বীকৃতি হস্তশিল্প-কারুশিল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করবে মানুষকে। পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে।
শহরের ঐতিহ্য, শিল্পীদের অসাধারণ শিল্প নৈপুণ্যর কথা মাথায় রেখে। তাঁদের শিল্প-হাতের কাজের কদর বিশ্বজোড়া।’ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্য়ান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহার কথায়, ‘এই স্বীকৃতি এই শহরের শিল্পীদের কঠোর পরিশ্রম ও তাঁদের ব্যতিক্রমী প্রতিভার প্রমাণ। শ্রীনগরের সংস্কৃতি যে কত গভীর ও ঐতিহ্যময় এই খেতাব থেকেই তার প্রমাণ মেলে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কারিগররা যাতে তাঁদের শিল্পনৈপুণ্যের মাধ্যমে হস্তশিল্প ও লোকায়ত সংস্কৃতিকে আরও অনেক কদম এগিয়ে যেতে পারেন সেই বিষয়ে সবরকম ভাবে চেষ্টা করব আমরা।’ তাঁর কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীও জম্মু-কাশ্মীরের হস্তশিল্প ও লোকায়ত সংস্কৃতির সমর্থন করেছেন।’
‘ওয়ার্ল্ড ক্রাফ্ট সিটি’-র মর্যাদা পাওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের হস্তশিল্প, তাঁত শিল্প উন্নতি আরও তরান্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এই স্বীকৃতির ফলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসাকে আরও বড় করবেন। বিশ্বব্যাপী তাঁদের শিল্পের কদরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা। পাশাপাশি বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে শিল্পীদের। আশা করা হচ্ছে এই স্বীকৃতি কর্মসংস্থানের নতুন এক দরজা খুলে দিল। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পও উপকৃত হবে। আশা, শ্রীনগরের সাংস্কৃতিক ও কারুশিল্পের ঐতিহ্যের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহব বাড়াবে। শহরের শিল্প, সংস্কৃতি, মেধা ও মননের চর্চা ও সেই মতো শহর উন্নয়নের পরিকল্পনা গুরুত্ব পাবে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরি শালের কদর বিশ্বজোড়া। কাশ্মীরি শাল সম্পূর্ণই সুতা দিয়ে কাজ করা থাকে। কাশ্মীরি শালের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পশমিনা শাল।