রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়ে চরবৃত্তির জন্য দেশে পায়রা পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এই সন্দেহে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে একটি পায়রাকে আটক করা হল। সোমবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভূস্বর্গের কাঠুয়া জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এলাকা থেকে ওই সন্দেহজনক পায়রাটিকে আটক করা হয়।
পায়রাটির একটি মেসেজ কোড বয়ে এনেছিল পাকিস্তান থেকে। সেখান থেকে হীরানগর সেক্টরের মানইয়ারি গ্রামের বাসিন্দারা পায়রাটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাকে ধরে ফেলে। নিরাপত্তা রক্ষীরা সেই মেসেজ কোড খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
কাঠুয়ার সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ শৈলেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, গতকাল গ্রামবাসীরা পায়রাটিকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তার একটি পায়ে একটি আংটি পাওয়া যায়। সেটাতেই কয়েকটি নম্বর লেখা ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
করোনা আবহেও প্রতিনিয়ত ভারত বিরোধী কার্যকলাপ করে চলেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সোমবারই জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে ফের সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ হয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক শীর্ষ লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদীর। প্রাণ গিয়েছে আরও এক সন্ত্রাসবাদীর।
জানা গিয়েছে, মৃত সন্ত্রাসবাদী ক্যাটেগরি এ-র সন্ত্রাসবাদী। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত লস্কর সন্ত্রাসবাদী বেশ কয়েক বছর ধরে সক্রিয় ছিল এবং বহু নাশকতার ঘটনায় তার হাত ছিল। গোপন সূত্রে সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে মীরওয়ানি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা রক্ষীরা।
কুলগামের মঞ্জগ্রামে অভিযান চালায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও পুলিশ বাহিনী। তাদের লক্ষ করে সন্ত্রাসবাদীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করলে পালটা গুলি চালান জওয়ানরা। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলি বিনিময় হয়। গুলিতে খতম করা হয় দুই সন্ত্রাসবাদীকে।