• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সংকটকালে মহুয়ার পাশে মা মঞ্জু মৈত্র,  মাকে ‘বাঘিনী’ বলে আখ্যা দিলেন মহুয়া 

কলকাতা, ৩ এপ্রিল – মায়ের মঙ্গে মহুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই কথোপকথন তুলে ধরেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র নিজেই। মাকে ‘আসল বাঘিনী’ বলেও আখ্যা দেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পিএমএলএ-তে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। এর পরেই মহুয়ার মা মহুয়াকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে বার্তা পাঠান। মায়ের সেই বার্তা বুধবার দুপুরে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মহুয়া।    তৃণমূলের

কলকাতা, ৩ এপ্রিল – মায়ের মঙ্গে মহুয়ার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই কথোপকথন তুলে ধরেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র নিজেই। মাকে ‘আসল বাঘিনী’ বলেও আখ্যা দেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পিএমএলএ-তে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। এর পরেই মহুয়ার মা মহুয়াকে হোয়াট্‌সঅ্যাপে বার্তা পাঠান। মায়ের সেই বার্তা বুধবার দুপুরে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মহুয়া। 
 
তৃণমূলের একাংশের আশঙ্কা, লোকসভা ভোটের আগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে মহুয়া মৈত্রকে। জটিল এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন তাঁর মা মঞ্জু মৈত্র। মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মায়ের বার্তা, “ ‘আমার নামে একটি পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তৈরি করে রাখ। ওরা যদি তোমাকে গ্রেপ্তার করে, আমি তোমার হয়ে মনোনয়ন জমা দেব।” স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, ‘‘বিজেপির ইডি, সিবিআইয়ের এই দৈনিক প্রেমের উদ্‌যাপন নিয়ে আমার মায়ের জবাব। ইউ রক মাম্মি। আসল বাঘিনি।’’
 
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে সপ্তাহে মহুয়া ও দর্শন হিরনন্দানিকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মূলত বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত আইন বা ফেমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে ইডির তলবে হাজিরা দেননি মহুয়া। হাজিরা দেননি দর্শন হিরানন্দানিও। ইডি কর্তারা যে মহুয়ার লোকসভা ভোটের প্রচার সংক্রান্ত ব্যস্ততাকে গুরুত্ব দেননি তা কার্যত মঙ্গলবারের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট।

 তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়াকে এর আগেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ইডি । মহুয়া প্রতিবারই তলব এড়িয়ে যান। কারণ হিসেবে ভোটে ব্যস্ত থাকার কথা জানান তিনি। গত সপ্তাহে মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মহুয়া জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটের আগে তাঁর কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে থাকবেন। তিনি ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। তার মধ্যেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নতুন করে সমন জারি করে মহুয়া এবং তাঁর পরিচিত দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে ডাক পাঠিয়ে। ইডি সূত্রের খবর, দুজনকেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জেরা করা হতে পারে।

 এর আগে মহুয়ার কলকাতার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে তল্লাশি চালানো হয় মহুয়ার কৃষ্ণনগরের একটি ঠিকানাতেও। একইসঙ্গে তাঁর দফতর এবং করিমপুরের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। তবে কলকাতার ওই ঠিকানাটি মহুয়ার বাবা – মায়ের। জানা যায়, সিবিআই তল্লাশির সময়ে মহুয়ার মা মঞ্জু মৈত্র সেখানেই উপস্থিত ছিলেন।
 
বুধবার সকালে আলাদা পোস্টে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম তুলে ধরে মহুয়ার কটাক্ষ করে লেখেন, ‘খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার, আ যাও নহি তো অব কে বার তিহার’। অর্থাৎ, বিজেপির দরজা খোলাই আছে। এবার চলে এসো। নয়তো ঠিকানা হবে তিহার জেল।প্রসঙ্গত, আপ শীর্ষনেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিহার জেলে বন্দি। মহুয়ার অভিযোগ, এটা বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।