বন্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত করুক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ

দিল্লি, ২১ এপ্রিল – নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর দাবি, এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করুক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল। এই বন্ড ‘দুর্নীতি’ প্রকাশ্যে এনে সুপ্রিম কোর্টে যে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর  মামলা দায়ের করেছিল, প্রশান্ত তাঁদের আইনজীবী ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর দাবি, আপাত দৃষ্টিতে যতটা বোঝা সম্ভব হচ্ছে , নির্বাচনী বন্ডে তার চেয়ে দুর্নীতি হয়েছে অনেক বেশি।

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা কোনও ফাইল পাস করানোর জন্য যদি সরকারি আধিকারিককে টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ঘুষ হিসাবে বিবেচিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখতে হবে, এই নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির পিছনে  কোন কোন সরকারি আধিকারিক যুক্ত। শুধু তাই নয়, বেসরকারি সংস্থার কোন কর্তারা যুক্ত তও খতিয়ে দেখা দরকার।’ এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে কোনও এজেন্সি যুক্ত কিনা তাও দেখতে হবে।
 
কয়েক দিন আগেই তিনি বন্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টির তদন্তের জন্য  বিশেষ তদন্তকারী দলগঠন করা হোক। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকুন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। প্রশান্তর দাবি, আপাত দৃষ্টিতে এই কেলেঙ্কারি ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মনে করা হলেও, আসলে এর পরিমাণ ১৬ লক্ষ কোটি টাকা। বন্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক হাজার কোটির অনুদানের জন্য সংস্থাগুলি তার ১০০ গুন সুবিধে সরকারের থেকে নিয়েছে।
 
উদাহরণ হিসেবে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রশান্ত ভূষণ। তাঁর দাবি , ওই সংস্থা বিজেপিকে ১৪০ কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে। তার বদলে সরকার ওই সংস্থাকে ১৪ হাজার কোটির বরাত দিয়েছে। সেই হিসেবে গোটা কেলেঙ্কারি ১৬ লক্ষ কোটির।