• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

‘ইন্ডিয়া’ জোটের ফাটল বাড়ছে, সংসদ চত্বরে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে নেই তৃণমূল, এসপি

আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে গরহাজির রইল তৃণমূল। এই প্রতিবাদে সামিল হয়নি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও।

সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে প্রকট হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের ফাটল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দিকনির্দেশ করে দিয়েছিলেন যে সংসদ অচল রেখে নয়, সচল রেখেই রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। আদানি কাণ্ডে বারবার সংসদ মুলতুবি হওয়া নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার  আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে গরহাজির রইল তৃণমূল। এই প্রতিবাদে সামিল হয়নি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও।

এদিন ‘ঘুষকাণ্ডের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বেশ কয়েকটি শরিক দলের সাংসদেরা। যৌথ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে একদম সামনের সারিতে ছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এসপি এবং তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূলের কোনও সাংসদকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘আমাদের দল সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরবে।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূল চায় মসৃণ ভাবে সংসদের কাজ পরিচালিত হোক। তাঁর কথায়, ‘আমরা সংসদ অচল করতে চাই না। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য আমরা এই সরকারের জবাব চাই।’

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং এসপি-র না থাকাকে বিজেপি যে উপভোগ করছে, তা বলাই বাহুল্য। বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষ বলে বলেন, ‘কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।’ বিরোধী জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা অবস্থাটা খালি দেখুন। কখনও তৃণমূল থাকে না, কখনও আবার আম আদমি পার্টি থাকে না।’

কংগ্রেস থেকে যে তৃণমূল দূরত্ত্ব বাড়ছে সেটা পরিষ্কার। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত  সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে একে ওপরের সঙ্গে বাক্যালাপ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী।

সোমবার সংসদে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে  কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকেও দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদদের।  রাজ্যের শাসকদলের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রকাশ্যেই বলা হয়েছে, শুধু একটিমাত্র বিষয় নিয়ে সংসদ বানচাল করার ঘোর বিরোধিতা করছে তারা। বরং রাজ্য এবং দেশের অন্য সমস্যাগুলির বিষয়েও তারা সংসদে সরব হতে চায় বলে ইঙ্গিত দেয় তৃণমূল।  এসপি-র তরফে অবশ্য মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে না-থাকার কারণ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।