• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দলীয় সভাপতি পদে ভোট চান না সোনিয়া, ফিরেই জি -২৩ নেতাদের সঙ্গেও বসবেন

দিল্লি,১৫ সেপ্টেম্বর– চিকিৎসার জন্য পনেরো বিদেশে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধি। আজ, শুক্রবার দেশে ফিরছেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধি ।  কংগ্রেস সূত্রে খবর, দেশে ফিরেই দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ শশী তারুর। সভাপতির দৌড়েও তিনি শীর্ষে। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গান্ধি পরিবারের কেউ সভাপতির দৌড়ে নেই

দিল্লি,১৫ সেপ্টেম্বর– চিকিৎসার জন্য পনেরো বিদেশে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধি। আজ, শুক্রবার দেশে ফিরছেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধি । 

কংগ্রেস সূত্রে খবর, দেশে ফিরেই দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত জি-২৩-এর নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ শশী তারুর। সভাপতির দৌড়েও তিনি শীর্ষে। এক শীর্ষ নেতার কথায়, গান্ধি পরিবারের কেউ সভাপতির দৌড়ে নেই এটা এখন স্পষ্ট। সোনিয়া, রাহুলরা ওই পদে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে চান, এটাও সকলের জানা। কিন্তু বিদায়ী সভাপতি চাইছেন, সহমতের ভিত্তিতে দলের সভাপতি বেছে নিতে।

জি-২৩-এর পক্ষে এখনও পর্যন্ত দলীয় সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে তারুর। যদিও তিনি নিজে মুখ ফুটে বলেননি প্রার্থী হতে চান। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের নেতা মনীশ তিওয়ারিও প্রার্থী হতে পারেন। তিনিও জি-২৩ গোষ্ঠীভুক্ত। লক্ষ্যণীয়, তারুর ও মনীশ সভাপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সনিয়ার নির্দেশে ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এতদিন, দলের ভোটার তালিকায় নাম থাকা নয় হাজার কংগ্রেস-নেতাকর্মীর নাম ভোটের আগে পর্যন্ত গোপন রাখা হত।

অনেকেই মনে করছেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সনিয়ার নির্দেশের বার্তা হল, সহমতের ভিত্তিতে নতুন সভাপতি বাছাই।

গান্ধি পরিবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে চাইলেও তিনি এখনও রাজি হননি। গেহলট বিচিত্র দাবি পেশ করেছেন সনিয়া, রাহুলদের সামনে। তাঁর বক্তব্য, তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থেকেই দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে চান। দিল্লি থেকে রাজস্থান ঢিল ছোঁড়া দূরে। ফলে সমস্যা হবে না।

কিন্তু, কংগ্রেসের মতো দলে পার্ট টাইম সভাপতি দিয়ে কাজ চালানো কঠিন। বিশেষ করে শিয়রে যখন লোকসভা এবং রাজস্থান বিধানসভার ভোট।

গেহলটের দ্বিতীয় প্রস্তাব হল, তাঁর পছন্দের লোককে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করলে তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি হতে রাজি। মুখে না বললেও অনেকেই মনে করছেন, প্রবীণ এই নেতা রাজস্থানের কংগ্রেস রাজনীতিতে নিজের পরিবারের প্রতিষ্ঠা নিয়ে বেশি ভাবিত। তিনি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে নিজের ছেলেকে বসাতে চান।

কিন্তু সোনিয়া, রাহুলরা পাঞ্জাবের কথা মাথায় রেখে এই দাবি মানতে নারাজ। সেখানে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং দল ছাড়ার পর রাহুল গান্ধী তড়িঘড়ি চরণজিত সিং চান্নির নাম ঘোষণা করে দেন। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। এমনকী দুটি আসনে প্রার্থী হয়ে দুটিতেই হেরে যান তিনি।

এখনও পর্যন্ত সনিয়া, রাহুলদের ভাবনা হল, গেহলট দলের সভাপতি হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হবেন সচিন পাইলট। গেহলটের ছেলেকে বড়জোর মন্ত্রী করা হবে। আর গেহলটকে রাজ্যসভার সদস্য করে দেওয়া হবে।

তবে এই ফর্মুলায় গেহলট রাজি না হলে মুকুল ওয়াসনিককে সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে দিতে পারেন সোনিয়া । গেহলটের মতো তিনিও ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং সংগঠন সম্পর্কে অভিজ্ঞ নেতা।