করােনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বড় ছেলে আশিস ইয়েচুরির। সীতারাম ইয়েচুরি নিজেই টুইট করে এই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। আশিসের বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর।
প্রথমে সীতারাম পুত্রকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টাতে মৃত্যু হয় তার। আশিস দিল্লির একটি প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে কর্মী ছিলেন।
ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানিয়ে সীতারাম ইয়েচুরি লেখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আজ সকালে আমার বড় ছেলে আশিস ইয়েচুরিকে হারিয়েছি। ও কোভিড়ে আক্রান্ত ছিল। যারা তাঁর চিকিৎসা করেছেন সেই ডাক্তার, নার্স ফ্রন্টলাইনার, স্বাস্থ্যকর্মী, স্যানিটেশন কর্মী এবং আমাদের পাশে যে অসংখ্য মানুষ ছিলেন তাঁদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
সীতারাম ও ইন্দ্রাণী মজুমদারের দুই সন্তান। আশিসের এক বােনও রয়েছে। সীতারাম তাঁর বড় ছেলে আশিসকে আদর করে বিকু নামে ডাকতেন। তবে বলা হয় পুত্র শােকের থেকে বড় শােক আর হয় না। তা তিনি হন না সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
তাই ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে মেদান্ত হাসপাতালের মর্গের সামনে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সীতারামের ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন, কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর সহ একাধিক নেতৃত্ব।
মেদান্ত হাসপাতাল থেকে বিকুকে শেষ বিদায় জানিয়ে এসে সীতারাম আরও একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘দুপুরে বিকুকে শেষ বিদায় জানিয়ে এলাম। যাঁরা এই সময়ে আমার পাশে। দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ।
যাঁরা এই অন্ধকারের মুখােমুখি হতে আমায় শক্তি জুগিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ। আমি জানি আমি একা নই। এই মহামারি অসংখ্য মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।