হাথরাস গণধর্ষণ মামলায় সিট’কে অতিরিক্ত ১০ দিন সময় যােগী প্রশাসনের

নির্যাতিতার পরিবারের বাড়ির বাইরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পাহারা। (Photo by Pawan SHARMA / AFP)

হাথরাস গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের সিটকে আরও অতিরিক্ত ১০ দিন সময় দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যােগী প্রশাসনের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, ‘১৯ বছরে তরুণীর গণধর্ষণ ও খুনের অভিযােগের তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছিল। যেহেতু তদন্ত পুরাে শেষ হয়নি, সিটকে আরও দশদিনের সময় দেওয়া হয়েছে’। 

উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবান স্বরূপের নেতৃত্বে ৩০ সেপ্টেম্বর হাথরাস কান্ডের তদন্তে স্পেশ্যাল তদন্তকারী সংস্থা গঠন করা হয়েছিল। প্রথমে সাতদিনের মধ্যে রিপাের্ট জমা করতে হবে। কিন্তু পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চায়। কারণ ঘটনার দ্বারা সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব ছড়ানাের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যােগী প্রশাসনের তরফে শীর্ষ আদালতকে স্পষ্ট জানানাে হয়, ‘আদালতের নজরদারিতে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করানাে হােক।’

অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্রদফতর) অশ্বিনী কুমার অবস্তি বলেন, হ্যাঁ, সিটকে রিপাের্ট জমা দেওয়ার জন্য আরও দশদিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল– তার জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটাই কারণ রয়েছে।– তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।’ 


ঘটনার পর থেকে যােগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে কঠোর সমালােচনার মুখে পড়তে হয়েছে– মেয়েটির দেহটি জোর করে মাঝরাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়, পরিবারের সম্মতিতে মেয়েটির দেহ দাহ করা হয়েছে। 

যােগী প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, গণধর্ষনের ঘটনার পর থেকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকে প্ররােচিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফরেনসিক রিপাের্টে গণধর্ষণের অভিযােগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, ‘নৈরাজ্যবাদীরা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ তৈরি করার চেষ্টা করছে।’