• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে ১৮ বছর পর ভাইয়ের সন্ধান পেলেন বোন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ২৯ জুন– এ যেন হুবহু কোনও এক সিনেমার চিত্রনাট্য৷ ১৮ বছর পর পুনর্মিলন ঘটল ভাই-বোনের৷ ভাঙা দাঁত দেখে ভাইকে চিনতে পারলেন বোন৷ যোগসূত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ছবি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর নামে একটি গ্রামে৷ জানা গিয়েছে, প্রায় ১৮ বছর আগে কাজের খোঁজে গ্রাম ছেড়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভাই বাল গোবিন্দ৷ তাঁর

নিজস্ব প্রতিনিধি, ২৯ জুন– এ যেন হুবহু কোনও এক সিনেমার চিত্রনাট্য৷ ১৮ বছর পর পুনর্মিলন ঘটল ভাই-বোনের৷ ভাঙা দাঁত দেখে ভাইকে চিনতে পারলেন বোন৷ যোগসূত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ছবি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর নামে একটি গ্রামে৷

জানা গিয়েছে, প্রায় ১৮ বছর আগে কাজের খোঁজে গ্রাম ছেড়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভাই বাল গোবিন্দ৷ তাঁর বন্ধুরাও বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে রোজগার করছিলেন৷ কিন্তু একসময় পর তাঁর সব বন্ধুরা গ্রামে ফিরে এলেও মুম্বইয়েই থেকে যান গোবিন্দ৷ ধীরে ধীরে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে আসে৷ ফলে স্বভাবতই চিন্তায় পড়ে তাঁর পরিবার৷ এরপর হঠাৎ একদিন অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠেন৷ কিন্ত্ত দুর্ভাগ্যবশত সেই ট্রেন তাঁকে কানপুরের বদলে নিয়ে চলে যায় জয়পুরে৷ আর সেখানে নেমেই তাঁর জীবন এক অন্য মোড় নেয়৷

অচেনা শহর জয়পুরে পৌঁছে ক্লান্ত, দিশেহারা গোবিন্দর সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়৷ সেই ব্যক্তি স্থানীয় এক কারখানায় গোবিন্দের কাজের ব্যবস্থা করে দেন৷ এরপর থেকেই আস্তে আস্তে তাঁর শরীর-স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়৷ পরিশ্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর তিনি সেখানে বিয়েও করে নেন৷ বর্তমানে তাঁর দুই সন্তান রয়েছে৷ বেশ আনন্দেই কাটছিল তাঁদের জীবন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই রিল বানাতেন গোবিন্দ৷

সেই রিলের সূত্র ধরেই ভাইকে চিনতে পারেন বোন। হঠাৎ একদিন বোন রাজকুমারীর ফোনে ভেসে ওঠে গোবিন্দর বানানো ভিডিও ৷ জীবন-যাপন বদলে গেলেও বদলায়নি ভাইয়ের ভাঙা দাঁত৷ আর সেই ভাঙা দাঁতের সৌজন্যেই রিল দেখে ভাইকে চিনতে পারেন বোন রাজকুমারী৷ এরপরই আবেগতাড়িত হয়ে তড়িঘড়ি তিনি ফোন করেন ভাইকে৷ বাড়ি ফেরার কথা বলতেই বোনের ডাকে নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি গোবিন্দ৷ অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর অপেক্ষার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা ছবির দৌলতে মিলন ঘটল ভাই-বোনের৷