সুনন্দা পুস্কর মৃত্যু রহস্যের যাবতীয় অভিযােগ থেকে মুক্ত শশী থারুর

শশী থারুর এবং সুনন্দা পুস্কর (Photo:SNS)

সুনন্দা পুস্করের রহস্যজনক মৃত্যু সম্পর্কিত যাবতীয় অভিযােগ থেকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকে মুক্তি দিল আদালত। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি শেষ হওয়ার পর আজ আদালত সুনন্দা পুস্কর হত্যা মামলায় রায় দান করে। গত এপ্রিলে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল।

ওই সময় আদালত রায় দান স্থগিত রেখেছিলেন আদালতের বিচারপতি গীতাঞ্জলি গােয়েল। সুনন্দা পুস্কর মৃত্যু রহস্যের যাবতীয় অভিযােগ থেকে শশী থারকে মুক্ত করা হল বলে ঘােষণা করেন। তারপর আদালতে প্রবেশ করে শশী থারুর বলেন, ‘আদালতকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই অভিযােগগুলাে নিয়ে সাড়ে সাত বছর আমি চরম নির্যাতনের মধ্যে দিন কাটিয়েছি।

থারুরের আইনজীবী বিকাশ পাসােয়ান ডিসচার্জ অর্ডার চেয়ে বলেন, “শশী থারুরের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় নি, যেটা থেকে প্রমাণ করা যায় স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় উনি জড়িত।


পাশাপাশি, তিনি বলেন, বিশেষ তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমে যে রিপাের্ট পেশ করেছে তাতে শশী থারুরকে সমস্ত অভিযােগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। লীলা প্যালেস হােটেলের সুইটে মৃত অবস্থায় সুনন্দা পুস্করকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে, তদন্তের পর বলা হয়েছিল পুস্কর আত্মহত্যা করেছেন। পরে রিপাের্টে বলা হয়েছিল সুনন্দা পুস্করের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এইমসের চিকিৎসা সুনন্দা পুস্করের দেহের ময়না তদন্তের রিপাের্টে উল্লেখ করেছিলেন, শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে।

পরবর্তী তদন্তে সুনন্দা পুস্করের শরীরে অ্যালপ্রাজোলাম ও এক্সেড্রিন ওষুধের সন্ধান পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্তকারী টিমের সদস্য চিকিৎসক অভিযোেগ করেছিলেন, ভুল রিপাের্ট তৈরি করার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়েছিল।

ফলে সুনন্দা পুস্করের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তার স্বামী তথা কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরকে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররােচনা করেছেন বলে অভিযুক্ত করেছিল। ২০১৫ সালে শশী থারুরে বিরুদ্ধে এফআইআর কা হয়েছিল।

দিল্লি পুলিশ থারুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররােচনা দেওয়া সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ নং ধারা ও ৪৯৮ এ ধারায় চার্জ গঠন করেছিল। শশী থারুর ওই সমস্ত অভিযােগ খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে দায়রা বিচারপতি তাঁকে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের অ্যাডভােকেট বিকাশ পাহয়া শুনানি চলাকালীন বলেছিলেন, আপনারা যদি আত্মহত্যা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে সংবিধানের ৩০৬ নং ধারা প্রয়ােগের কোনও আবশ্যিকতা নেই।

প্রথমে, এটা প্রমাণ করতে হবে এই মৃত্যু আত্মহত্যার কারণে ঘটেছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল–চার বছরে তদন্তকারীরা রিপাের্ট পেশ করে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন, সুনন্দা পুস্কর আত্মহত্যাও করেননি বা তাকে হত্যাও করা হয়নি।