কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধির সরে দাড়ানাের পর দল কিভাবে সঠিক দিশায় এগিয়ে যাবে তা এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাড়িয়ে বলে মন্তব্য করলেন সাংসদ শশী থারুর।
তিনি বলেন, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ সহ দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির জন্য নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধি সরে দাড়িয়ে সে পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলের সভাপতি নির্বাচনের সময় কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রাও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সামিল হবেন। তবে কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সেটা গান্ধি পরিবার ঠিক করবে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং’র মূল্যায়নকে তিনি সমর্থন করে বলেন, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সঠিক বলেছেন যে দলকে এই কঠিন সময়ে একমাত্র কোনও যুব নেতা সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারেন।
রাহুল গান্ধির কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়ানাের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা আঘাত পেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দল কোনও পথে এগিয়ে যাবে তার দিশা নির্দেশ করার মতাে কেউ নেই। কংগ্রেস দল এই মুহুর্তে কঠিন পরিস্থিতির মুখােমুখি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেবে। কোনও রকম দেরি না করে দ্রুত সমাধানের সঠিক রাস্তা খুঁজবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এই মুহুর্তে দলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কার্যনির্বাহী সভাপতি নিয়ােগ করতে পারে।
তারপর নির্বাচন করে দলের শীর্ষ পদাধিকারিদের নিয়ােগ করার পর অন্তর্বর্তী কার্যনির্বাহী সভাপতি পদটি খারিজ করে দেওয়া হবে। এআইসিসি ও পিসিসি প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলিতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যােগ্য ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত করে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নতুন সভাপতি যদি একজন প্রাষ্ঠিানিক ব্যক্তিত্ব হন, তাহলে তিনি দলের ভিতকে আরও মজবুত করে তােলার চেষ্টা করবেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধির প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। কিন্তু রাহুল গান্ধি বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধি পরিবারের কোনও সদস্য বসবেন না।