অমরাবতী, ৭ জুন – চন্দ্রবাবু নায়ডুর স্ত্রী নারা ভুবনেশ্বরীর শেয়ার বাজার থেকে মুনাফা হল ৫৭৯ কোটি টাকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সবই হয়েছে এক্সিট পোল প্রকাশের পর। স্টকের নাম হেরিটেজ ফুডস লিমিটেড।এই কোম্পানিতে নারা ভুবনেশ্বরীর ২৪.৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এই কোম্পানির অন্যতম প্রোমোটার তিনি। বোর্ডে তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। হেরিটেজ ফুডে তাঁর শেয়ারের সংখ্যা ২ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি।
নরেন্দ্র মোদির নতুন শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডুর পরিবারের উপর ভাগ্যবিধাতা খুবই প্রসন্ন। মাত্র ৫ দিনে চন্দ্রবাবুর স্ত্রী নারা ভুবনেশ্বরীর শেয়ার বাজার থেকে মুনাফা হয়েছে ৫৭৯ কোটি টাকা। ৩১ মে পর্যন্ত হেরিটেজ ফুডের শেয়ারের দাম ছিল ৪০২ . ৯০ টাকা। মাত্র ৫ দিনে সেই শেয়ারের দাম হয়েছে শেয়ার প্রতি ৬৫৯ টাকা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দাম বেড়েছে ২৫৬ টাকা।
শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ জোটের বৈঠক হয়েছে। তার মধ্যেই ভাগ্য খুলে গেছে ভুবনেশ্বরী দেবীর। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ৪ জুন শেয়ার বাজারে ধস নামলেও হেরিটেজ ফু়ডের শেয়ারের দামে কোনও আঁচ পড়েনি। কারণ, অন্ধ্রপ্রদেশে বিপুল জনমত নিয়ে সরকার গড়তে চলেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু।
এবার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার আগে যে এক্সিট পোল হয়েছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধি সরাসরি অভিযোগ করেছেন শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারি হয়েছে। মোট ৩১ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এ ব্যাপারে জেপিসি তথা যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাহুলের প্রশ্ন ফল প্রকাশের আগে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ কেন মানুষকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিলেন? তার পর এক্সিট পোলের মাধ্যমে কেন ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা হল। আর এক্সিট পোলের ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজার থেকে যাঁরা মুনাফা কামিয়ে নিলেন তাঁদের সঙ্গে কী যোগসূত্র ছিল?
৩ জুন, স্টক মার্কেট আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল৷ আর ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পর এক ধাক্কায় পড়ে যায় স্টক মার্কেট৷ রাহুল গান্ধির দাবি, যাঁরা জানতেন স্টক মার্কেটে কিছু কারসাজি চলছে, তাঁরাই এই সময়ে লগ্নি করেছিলেন৷ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছিল৷ বিদেশি লগ্নিকারীরাও টাকা লাগিয়েছিলেন৷ এরপর, ৪ জুন ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় খুচরো লগ্নিকারীদের৷ এরপরই রাহুল বলেন, “এটা ভারতের স্টক মার্কেটের সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি৷” সন্দেহ নেই নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকেই এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যেতে পারে।