তাকে সুরক্ষা নয় আসলে তার সঙ্গে সবসময় কিছু গুপ্তচরকে রাখতে চাইছে কেন্দ্র। প্রশ্নের মুখে ‘মারাঠা স্ট্রং-ম্যান’কে নিরাপত্তা দিতে চাওয়া কেন্দ্রের ঘোষণা। চলতি বছরে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হঠাৎ ‘মারাঠা স্ট্রং-ম্যান’ তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নিরাপত্তা নিয়েই এবার সন্দেহ প্রকাশ করলেন পাওয়ার। অভিযোগ করলেন, নিরাপত্তার নামে আসলে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে তাঁর উপর ‘গুপ্তচরবৃত্তি’র ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।
৮৩ বছর বয়সি প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারকে গত বুধবার জেড-প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণত দেশের ভিভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ থাকে কমান্ডো বাহিনী বেষ্টিত এই নিরাপত্তা। তবে মহারাষ্ট্রে ভোটের ঠিক আগে এই নিরাপত্তাকে রীতিমতো সন্দেহের চোখে দেখছেন শরদ পাওয়ার নিজেও। কেন তাকে হঠাৎ এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, তা তিনি নিজেও জানেন না বলে দাবি করেন পওয়ার। একইসঙ্গে সরকারের গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এনসিপি প্রধান দাবি করেন, “হতে পারে সামনে নির্বাচন উপলক্ষে আমায় এই নিরাপত্তা দেওয়া হল। আমার মনে হয়, আমার গতিবিধি ও আমার সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতেই এই আয়োজন। আসলে নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে সরকার আমার উপর গুপ্তচরবৃত্তির আয়োজন করেছে।”
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে দেশে মোট ৩ জনকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে আমি এক জন। ফলে আমি প্রশ্ন করেছিলাম বাকি দুজন কারা। উত্তরে জানানো হয়, বাকিরা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে।”
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি ও এনডিএ শরিকরা। আর কয়েকমাস পরেই এখানে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, লোকসভার প্রভাব যদি বিধানসভায় পড়ে সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্র থেকে এনডিএ-এর বিদায় কার্যত নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে মারাঠা রাজনীতির ‘চাণক্য’ হিসেবে পরিচিত শরদ পওয়ারের প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে নিতে চাইছে শাসকদল। ভোটের আগে হঠাৎ কেন্দ্রের তরফে জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে সেই সন্দেহই উস্কে দিলেন শরদ পওয়ার।