শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে এবার ননদ-বৌদির যুদ্ধ ? মুখোমুখি সুপ্রিয়া সুলে-সুনেত্রা পাওয়ার 

দিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি – শরদ পাওয়ারের এনসিপির এখন ঘরে-বাইরে যুদ্ধ। লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাইরের লড়াই ঘরের অন্দরেও এসে পৌঁছল।শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে এবার ননদ-বৌদির যুদ্ধ দেখতে চলেছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মহারাষ্ট্রের বারামতী পাওয়ার পরিবারের বরাবরের শক্ত ঘাঁটি। সেই কেন্দ্রে মুখোমুখি হতে পারেন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা ও অজিত পাওয়ারের বোন সুপ্রিয়া সুলে। অজিত পাওয়ার নাম না করলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, বারামতীতে সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন এমন একজন, যিনি আগে কখনও ভোটে লড়েননি।

লোকসভা ভোটের পারদ চড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রও তার বাইরে নয়। শাসক-বিরোধীর লড়াইয়ের বদলে এখন এ রাজ্যে বেশি মাথা চাড়া দিয়েছে বিরোধীদের দলীয় কোন্দল। শিবসেনার মতোই এনসিপিতেও এখন  আসল-নকলের লড়াই। শরদ এবং অজিত পওয়ার এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন দল ‘আসল এনসিপি’ তা নিয়ে শুরু হয়েছে আইনি যুদ্ধ। এরই মধ্যে পাওয়ারদের খাসতালুক মহারাষ্ট্রের বারামতীতে দুই পাওয়ারের মুখোমুখি যুদ্ধ হতে চলেছে আগামী নির্বাচনে, এমনি ইঙ্গিত মিলছে। প্রতিদ্বন্দ্বী একজন বারামতীর টানা তিন বারের জয়ী এনসিপি সাংসদ তথা শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। অন্য জন সুনেত্রা পাওয়ার। তিনি সম্পর্কে অজিতের স্ত্রী এবং সুপ্রিয়ার বৌদি। মহারাষ্ট্রে খবর, বারামতীর সাংসদ সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রী সুনেত্রাকে দাঁড় করাতে চলেছেন অজিত।
 
বারামতী কেন্দ্রে পরপর তিনবার প্রার্থী হয়েছেন সুপ্রিয়া সুলে। ২০০৯ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে লড়ছেন সুপ্রিয়া। বর্তমানে পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। ২০২৩ সালে এনসিপি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। শিব সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যোগ দেন সরকারে। বিধায়কদের সমর্থনের জোরে নিজেদের আসল এনসিপি বলে প্রমাণও করেন তিনি। এবার তাই এনসিপি আর শরদের নতুন দল ‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-শরদচন্দ্র পাওয়ার’ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
 
অজিত বারামতীর ভোটারদের উদ্দেশে আর্জি জানিয়ে অজিত বলেছেন, ‘‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা এ বার এক জন নতুন প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন।’’ একই সঙ্গে অজিত জানিয়েছেন, নতুন হলেও ওই প্রার্থী রাজনীতি থেকে দূরের মানুষ নন। বরং তাঁর চারপাশে ঘিরে রয়েছে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদেরা। সুনেত্রা ইতিমধ্যেই বারামতীতে অজিতের দলের হয়ে প্রচারের কাজ শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অজিতের এই বক্তৃতা তাঁর স্ত্রী সুনেত্রাকে নিয়ে জল্পনায় ইন্ধন দিয়েছে।

সুনেত্রা অজিতের স্ত্রী,  তিনি নিজেও রাজনৈতিক পরিবারের কন্যা। তাঁর ভাই পদ্মসিংহ পাটিল প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী। সুনেত্রা এবং অজিতের দুই সন্তান জয় পাওয়ার এবং পার্থ পাওয়ার। এঁদের মধ্যে পার্থ সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি, তবে হেরে যান। সুনেত্রা নিজে সমাজকর্মী। বারামতীতেও  তিনি বহু কাজ করেছেন।